image

৫-৭ লাখ বাজেটে এমন কোন ব্যবসা করা যায়, যাতে পার্মানেন্ট ইনকাম থাকবে?

 

আপনি কি কখনও অল্প টাকা দিয়ে নিজের ব্যবসা শুরু করার স্বপ্ন দেখেছেন? 

 

আমি যদি আপনাকে বলি যে মাত্র ৫-৭ লাখ টাকা দিয়ে আপনি এমন একটি ব্যবসা শুরু করতে পারেন যার দ্বারা দীর্ঘ সময় ধরে অর্থ উপার্জন করা সম্ভব? 

 

বিষয়টি খুবই অবাক লাগতে পারে আপনার কাছে, তাই না? আমার আজকের এই আর্টিকেলে, আমরা এমন কিছু দুর্দান্ত ব্যবসায়িক ধারণা নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি যা আপনার মতো বাজেটের উপযুক্ত মানুষদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি আইডিয়া হবে। 

 

আমরা আপনাকে দেখাব যে দুর্দান্ত কিছু শুরু করতে আপনার খুব বেশি অর্থের প্রয়োজন নেই। আজকের পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়বেন এবং আমরা আশা করব যে এখান থেকেই আপনি সবচেয়ে সেরা আইডিয়াটি পেয়ে যাবেন।

 

ব্যবসায় পার্মানেন্ট ইনকাম নিয়ে কিছু কথা: 

 

একদম সহজ ভাষায় বলছি, সেটা হচ্ছে ব্যবসায় যদি ইনকাম পার্মানেন্ট না থাকে, তাহলে সে ব্যবসা বেশিদিন টেকসই হবেনা। পার্মানেন্ট ইনকামই হচ্ছে ব্যবসার একমাত্র সুপার পাওয়ার। 

 

যেমন, আপনার শরীরের চালিকাশক্তি হিসেবে রক্ত প্রবাহিত হয়, সেইরকম ব্যবসায় দরকার পার্মানেন্ট ইনকাম যা ব্যবসার চালিকাশক্তি হিসাবে কাজ করে। ব্যবসায় ইনকাম থাকতেই হবে এটা হল চরম সত্যি এবং প্রথমেই এর ওপর আপনাকে প্রাধান্য দিতে হবে। 

 

বর্তমান সময়ের উপযোগী ব্যবসা হচ্ছে: 

 

১. ক্লাউড কিচেন যেটা খুবই অল্প ইনভেস্টমেন্টে শুরু করতে পারবেন তারপর

 

২. ডিজিটাল প্রোডাক্ট এর বিজনেস

 

৩. বেকারি আইটেম এর বিজনেস

 

৪. ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফি

 

৫. টি-শার্ট প্রিন্টিং বিজনেস

 

৬. ডিজিটাল কোচিং

 

৭. বিজনেস কনসালট্যান্ট

 

৮. সফটওয়্যার ইনস্টলেশন

 

৯. আইটি বিজনেস

 

১০. নির্দিষ্ট আইটেমের উপরে ই-কমার্স 

 

১১. ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট

 

১২. ভাষা শিক্ষা

 

১৩. খাদ্য ও পুষ্টি পরামর্শদাতা

 

১৪. স্বাস্থ্য পরামর্শ দাতা

 

১৫. ধ্যান প্রশিক্ষক

 

১৬. যোগ প্রশিক্ষক

 

১৭. ব্যক্তিগত প্রশিক্ষক

 

১৮. রিটেইল

 

১৯. মাইক্রো ডিস্ট্রিবিউটর

 

২০. স্যানিটারি প্রোডাক্ট

 

ইত্যাদি আরো অসংখ্য উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে।

   

আপনি ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা বাজেটে বিজনেস করতে চাচ্ছেন যেটা খুবই ভালো মানের একটা বাজেট। এই বাজেট দিয়ে বেশকিছু ইন্ডাস্ট্রিতে ভালো বিজনেস করা যাবে, কিন্তু আমার কথা হচ্ছে আপনাকে বিজনেস করার আগে বিজনেসের কিছু নীতি এবং কিছু সাধারণ ধারণা সম্পর্কে অবগত হতে হবে।

 

যে ব্যবসাই করুন না কেন বিজনেস স্কিলগুলো আগে ভাল করে রপ্ত করতে হবে, তাহলে আপনি খুব ভালোভাবে অল্প সময়ের মধ্যে এগিয়ে যেতে পারবেন।

 

কিছু বিজনেস স্কিলের উদাহরণ নিচে উল্লেখ করলাম: 

 

👉 এমন কোন ১০টি সেলস টেকনিক আছে যা আপনি কাল থেকে প্রয়োগ করলে ব্যবসায় ৪/৫ গুণ রেভিনিউ বৃদ্ধি করতে পারবেন?

 

👉 এমন কোন ১৫টি অল্প খরচের মার্কেটিং কলা-কৌশল আছে যা আপনি আপনার ব্যবসায় এখনই ব্যবহার করতে পারবেন?

 

👉 এমন কোন ১০টি ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট কলাকৌশল আছে যা আপনি আপনার ব্যবসায় ব্যবহার করলে সবসময় ক্যাশ সমৃদ্ধ থাকবেন অর্থাৎ আপনার ব্যবসায় টাকা সব সময় অতিরিক্ত থাকবে?

 

👉 এমন কোন ১০টি টেকনিক আছে যা আপনি ব্যবহার করলে আপনার কাস্টমার আপনার কম্পিটিটরকে বাদ দিয়ে আপনার কাছ থেকে পণ্য কেনা শুরু করবে?

 

👉 এমন কোন ব্যবসায়ীক কলা-কৌশল আছে যা জানলে আপনাকে কোনদিনও বাকিতে এবং ডিসকাউন্টে পণ্য বিক্রি করতে হবে না?

 

ইত্যাদি আরও নানা ধরনের বিজনেস স্কিল আপনাকে শিখতে হবে এবং নিয়মিত এগুলোর চর্চা করতে হবে।

 

আজকে পৃথিবীতে যেসমস্ত ব্যবসাসফল ব্যক্তি আছেন তারা প্রত্যেকেই বিজনেসের নীতিকে ফলো করে আজকে তাদের ব্যবসাকে পৃথিবী জুড়ে সম্প্রসারণ করতে পেরেছেন। আজকে পৃথিবীতে ব্যবসাসফল ব্যক্তি তারাই যারা তাদের কাস্টমারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাকে সমাধান করতে পেরেছেন।

 

উদাহরণ স্বরূপ বিদেশি কোম্পানি, ফেসবুক, টুইটার উবার, টেসলা, আলিবাবা,গুগল, মাইক্রোসফট, শাওমি, স্যামসাং, অ্যাডিডাস, নাইকি এরা সবাই কিন্তু আজকে পৃথিবীতে সফলভাবে ব্যবসা করছে। এর একটাই কারণ এরা যে সমস্ত প্রোডাক্ট তৈরি করছে সেগুলো কাস্টমারের কোন না কোন গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাকে সমাধান করছে।  

 

ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পর্কে নিয়মিত পোস্ট পেতে অবশ্যই আমাদের ইমেইল সাবস্ক্রাইব করে রাখুন, সেইসাথে আপনার যদি গুরুত্বপূর্ণ কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে আমাদের এই পোষ্টের নিচে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করতে ভুলবেন না। 

 

ধন্যবাদান্তে

রাশেদুল ইসলা্ম

ফাউন্ডার, স্কিলস রাইডার