আপনি বাংলাদেশে প্যাসিভ ইনকামের আইডিয়া খুঁজছেন? দারুণ! পাঁচ থেকে ছয় মিনিটের মধ্যে এই কোর্সটি আপনাকে পুরোপুরি একটি বেসিক ধারণা দিয়ে দিবে তাই পোস্টটি পুরোপুরি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
প্যাসিভ ইনকাম কি
প্যাসিভ ইনকাম মানে হল, একবার সেটআপ করে দিলে পরে আর বেশি পরিশ্রম না করেও টাকা আয় করা। উদাহরণ তিন মাস অথবা ছয় মাস পরিশ্রম করে একটি বই লিখলেন, বইটি যখন বিক্রি হবে আপনাকে আর পরিশ্রম করতে হবে না কিন্তু ইনকাম নিয়মিত আসতেই থাকবে।
যেমন: আমরা ইউটিউবে ভিডিও তৈরি করি একটি ভিডিও থেকে নিয়মিত প্যাসিভ ইনকাম আসতেই থাকে।
প্যাসিভ ইনকামের অনেক সুবিধা রয়েছে সেগুলো কি কি তা জানতে হলে নিচের ইউটিউব লিংকে ক্লিক করুন আপনি জানতে পারবেন
বাংলাদেশের প্যাসিভ ইনকামের সম্ভবনা
বাংলাদেশেও অনেক প্যাসিভ ইনকামের সম্ভাবনা রয়েছে। আসুন, কয়েকটি আইডিয়া নিয়ে আলোচনা করা যাক:
অনলাইন প্যাসিভ ইনকাম:
1️⃣ ব্লগিং: আপনার জ্ঞান বা আগ্রহের বিষয়ে একটি ব্লগ তৈরি করে এবং নিয়মিত পোস্ট করলে, গুগল অ্যাডসেন্সের মতো প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আয় করতে পারবেন। একবার ব্লগটি জনপ্রিয় হয়ে গেলে, স্পনসর্ড পোস্ট, ইবুক বিক্রি ইত্যাদির মাধ্যমেও আয় বাড়ানো যায়।
2️⃣ ইউটিউব চ্যানেল: আপনার দক্ষতা, হবি বা তথ্যপূর্ণ বিষয় নিয়ে ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবে আপলোড করুন। ভিডিওগুলো যদি ভালো হয় এবং দর্শকরা পছন্দ করে, তাহলে আপনি ইউটিউব থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
3️⃣ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং: অন্য কোম্পানির পণ্য বা সেবা প্রচার করে বিক্রয় হলে কমিশন আয় করুন। আপনার ব্লগ, সোশ্যাল মিডিয়া বা ইমেইল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে এই কাজটি করতে পারেন।
4️⃣ অনলাইন কোর্স: আপনার কোনো বিশেষ দক্ষতা বা জ্ঞান থাকলে, সেই বিষয়ে অনলাইন কোর্স তৈরি করে Udemy, Coursera ইত্যাদি প্ল্যাটফর্মে বিক্রি করতে পারেন।
5️⃣ ই-কমার্স: নিজস্ব পণ্য বা অন্যের পণ্যের ড্রপশিপিং করে অনলাইন শপ তৈরি করুন। শুরুতে কম খরচে একটি অনলাইন শপ খোলা সম্ভব।
অফলাইন প্যাসিভ ইনকাম:
1️⃣ বিনিয়োগ: শেয়ার মার্কেট, মিউচুয়াল ফান্ড, রিয়েল এস্টেট ইত্যাদিতে বিনিয়োগ করে দীর্ঘমেয়াদে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। তবে বিনিয়োগের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
2️⃣ ভাড়া বাড়ি: আপনার অতিরিক্ত বাড়ি বা ফ্ল্যাট ভাড়া দিয়ে নিয়মিত আয় করতে পারেন।
3️⃣ রয়্যালটি: আপনি যদি কোনো বই, গান, সফটওয়্যার বা অন্য কোনো কাজের কপিরাইট অধিকারী হন, তাহলে তার ব্যবহারের বিনিময়ে রয়্যালটি আয় করতে পারবেন।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আরো কিছু আইডিয়া:
1️⃣ ডোমেইন এবং হোস্টিং বিক্রি: আপনি যদি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কে জানেন, তাহলে ডোমেইন এবং হোস্টিং কিনে ভালো দামে বিক্রি করে আয় করতে পারেন।
2️⃣ ব্লগ বা ওয়েবসাইট বিক্রি: আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইট যদি জনপ্রিয় হয়, তাহলে ভবিষ্যতে তা বিক্রি করে এককালীন বড় অঙ্কের টাকা আয় করতে পারবেন।
মনে রাখবেন:
> সময় লাগে: প্যাসিভ ইনকাম শুরুতেই আসবে না। ধৈর্য ধরে কাজ করতে হবে।
> জ্ঞান অর্জন: যে কোনো প্যাসিভ ইনকাম আইডিয়া বেছে নেওয়ার আগে সে সম্পর্কে ভালো করে জেনে নিন।
> ঝুঁকি থাকে: বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ঝুঁকি থাকে। তাই সতর্কতার সাথে বিনিয়োগ করুন।
> বিভিন্ন উৎস: একাধিক প্যাসিভ ইনকামের উৎস তৈরি করলে আয় স্থিতিশীল হতে পারে।
আমরা আশা করছি আপনি এই পোস্ট থেকে বেসিক একটি ধারণা পেয়ে গিয়েছেন এবং আপনি বিস্তারিত জানতে চান তাহলে নিজের হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করুন, এই বিষয়ে আপনাকে বিস্তারিত গাইডলাইন প্রদান করা হবে।
আমাদের এই প্ল্যাটফর্ম থেকে নিয়মিত ফ্রি মাস্টার ক্লাস পেতে হলে আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হয়ে যান আমি ইউটিউব চ্যানেলের লিংকটি শেয়ার করছি নিচে 👇
https://www.youtube.com/@rashedulislam3427/videos
ধন্যবাদ
রাশেদুল ইসলাম, ফাউন্ডার, স্কিলস রাইডার