image

আজকে যে পোস্টটি আপনারা পড়ছেন তার মাধ্যমে নিজের আত্মউন্নয়ন এবং ব্যক্তিত্ব আরও চমৎকারভাবে তৈরি করতে পারবেন। একটি বিষয়ে আপনাকে বুঝতে হবে, তা হলো আপনি বিজনেস করেন, চাকরি করেন অথবা যেকোন পেশায় থাকুন না কেন? দিনশেষে আপনার প্রতি যদি কারো বিশ্বাস না থাকে তাহলে আপনি আপনার ব্যক্তিত্ব তৈরি করতে পারবেন না।   

 

এটি সমাজের সকল স্তরের মানুষজনের জন্য প্রয়োজন। আপনার পাশে যদি পাঁচজন থাকে তাহলেও প্রয়োজন অথবা আপনার পাশে যদি পাঁচ কোটি মানুষ থাকে তাহলে প্রয়োজন।  

 

বস্তুত আমি অসংখ্য বই পড়ি এবং podcust শুনে থাকি সেখান থেকে এই বারটি পয়েন্ট আপনাদের জন্য উদাহরণসহ তুলে ধরার চেষ্টা করছি যেখান থেকে আপনারা একদম পরিষ্কার বুঝতে পারবেন যে মানুষের সাথে বিশ্বাস তৈরি কিভাবে করতে হয়? 

 

প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমার এই আর্টিকেলটি পড়ুন আপনি সম্পূর্ণ বুঝতে পারবেন এবং নিজেকে নতুন ভাবে প্রস্তুত করতে পারবেন ২০২৫ সালের জন্য।  

 

নিজের পার্সোনালিটি বা ব্যক্তিত্ব তৈরি করতে হলে সবার প্রথম আপনাকে মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে হবে। দেখুন একটি বিষয়, আপনি রাজনৈতিকভাবে, সামাজিকভাবে, অর্থনৈতিকভাবে এবং পারিবারিকভাবে যদি সব থেকে বেশি সুখ এবং সমৃদ্ধি লাভ করতে চান, তাহলে আপনাকে বিশ্বাস অর্জন করতেই হবে।  

 

মানুষের বিশ্বাস অর্জন করার কিছু উপকারিতা আমি তুলে ধরছি 

 

👉 আপনার ব্যক্তিগত ব্র্যান্ড তৈরি করতে পারবেন।   

👉 রাজনৈতিকভাবে নিজেকে অন্যের কাছে প্রভাবিত করতে পারবেন।  

👉 ক্যারিয়ারে নিজেকে নিয়মিত উন্নতি করতে পারবেন।  

👉 সামাজিকভাবে সমাজের প্রত্যেকটি শ্রেণী পেশার মানুষের কাছে মর্যাদা পাবেন।  

👉 আপনার ভিতরে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে এবং আপনি সফল একটি মানুষের পরিণত হবেন।  

👉 আপনার ব্যক্তিত্বকে অনেকটা মজবুত এবং শক্তিশালী করবে।  

👉 অর্থনৈতিকভাবে আপনি অনেকটা গোছানো এবং সমৃদ্ধশালী হবেন।   

 

এখন আমি সে বারটি বিষয়ে আলোচনা করব যার মাধ্যমে আপনি সহজেই অন্যের বিশ্বাস অর্জন করতে পারবেন। 

 

১. আপনার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করুন

প্রতিশ্রুতি দেওয়া সহজ, কিন্তু তা পালন করা কঠিন। প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে না পারলে মানুষ আপনার উপর আস্থা হারাবে।

উদাহরণ: আপনি কাউকে একটি কাজ সময়মতো সম্পন্ন করার কথা বললেন। তা যদি ঠিক সময়ে না করেন, তবে তার আস্থা কমে যাবে।

 

২. সঠিকভাবে যোগাযোগ করুন

পরিষ্কার ও সহজ ভাষায় কথা বলুন। ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে স্পষ্টভাবে নিজের বক্তব্য প্রকাশ করুন।

উদাহরণ: আপনার সহকর্মীর সাথে কাজের সময়সীমা নিয়ে আলোচনা করার সময় বিভ্রান্তি না ছড়িয়ে স্পষ্ট সময় উল্লেখ করুন।

 

৩. সতর্কতার সাথে সিদ্ধান্ত নিন

যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ভেবেচিন্তে তা করুন। তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত নিলে আস্থার ক্ষতি হতে পারে।

উদাহরণ: আপনার বন্ধু যদি একটি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ চায়, তবে তা নিয়ে ভাবুন এবং তাকে যুক্তিসঙ্গত উত্তর দিন।

 

৪. আপনার কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখুন

ক্রমাগত নির্ভরযোগ্য থাকলে মানুষ আপনার প্রতি আস্থা রাখবে।

উদাহরণ: প্রতিদিন সময়মতো কাজের জন্য অফিসে উপস্থিত থাকলে আপনার সহকর্মীরা আপনাকে বিশ্বাস করবে।

 

৫. অন্যের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন

অন্যের কথার গুরুত্ব দিন এবং তাদের অনুভূতির প্রতি মনোযোগ দিন।

উদাহরণ: কেউ যদি তার সমস্যার কথা শোনায়, তবে তার কথা মন দিয়ে শুনুন এবং সহানুভূতি প্রকাশ করুন।

 

৬. অন্যকে সাহায্য করুন

বিপদের সময় পাশে থাকলে মানুষ আপনাকে আরও বিশ্বাস করবে।

উদাহরণ: আপনার সহকর্মী একটি কঠিন কাজ শেষ করতে পারছে না। তাকে সাহায্য করলে তার আস্থা অর্জন করবেন।

 

৭. আপনার অনুভূতি প্রকাশ করুন

নিজের মনের কথা খোলামেলা বলুন। এটি অন্যদের সঙ্গে আপনার সম্পর্ককে মজবুত করে।

উদাহরণ: আপনার সহকর্মীর কাজ যদি ভালো লাগে, তাহলে সরাসরি তাকে প্রশংসা করুন।

 

৮. ভুল করলে তা স্বীকার করুন

ভুল করলে তা ঢাকতে যাবেন না। নিজের ভুল স্বীকার করলে অন্যরা আপনার প্রতি আস্থা রাখবে।

উদাহরণ: অফিসে একটি মিটিংয়ে ভুল তথ্য দিলে, তা স্বীকার করে সঠিক তথ্য প্রদান করুন।

 

৯. ভুলের জন্য ক্ষমা চান

ক্ষমা চাইতে লজ্জা পাবেন না। এটি আস্থার সম্পর্ক তৈরি করতে সহায়ক।

উদাহরণ: আপনার কথায় কেউ কষ্ট পেলে তাকে ক্ষমা চেয়ে বোঝান।

 

১০. আপনার বিশ্বাসে অটল থাকুন

আপনার নীতিতে অটল থাকলে মানুষ আপনাকে শ্রদ্ধা করবে।

উদাহরণ: অনৈতিক কাজে অংশ না নিয়ে সৎ পথে থাকুন।

 

১১. মানুষের সাথে সৎ থাকুন

সত্য কথা বলুন এবং বিশ্বাসঘাতকতা করবেন না।

উদাহরণ: কোনো বন্ধুর কাছ থেকে টাকা ধার নিলে তা সময়মতো ফেরত দিন।

 

১২. আপনার প্রকৃত স্বরূপ প্রকাশ করুন

ভান করবেন না। নিজের মতো থাকুন এবং অন্যদের সাথে আন্তরিক আচরণ করুন।

উদাহরণ: অফিসে কিংবা সামাজিক পরিবেশে নিজের প্রকৃত ব্যক্তিত্ব বজায় রাখুন।

বিশ্বাস তৈরি করা সময়সাপেক্ষ, তবে এই গুণগুলো অনুসরণ করলে তা সম্ভব।

 

এই আর্টিকেলে বিশ্বাস তৈরি করার সুবিধা এবং এর উপায়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো আমার এই ব্লগ আর্টিকেলটি আপনার ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুবান্ধবদের সাথে এবং আত্মীয়-স্বজনের সাথে শেয়ার করুন এবং আপনি কোন বিষয়ের উপরে বেশি জানতে চাচ্ছেন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে মেসেজ করতে পারেন অথবা এই ব্লগের নিচে কমেন্ট অপশন রয়েছে সেখানে মন্তব্য করতে পারেন।  

 

আমাদের অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার +8801316886988 

 

ধন্যবাদ

মো: রাশেদুল ইসলাম