মার্কেটিংয়ে সফল হওয়ার ২টি পাওয়ারফুল ফর্মুলা
আপনাকে অনেক শুভেচ্ছা আপনি আমার এই আর্টিকেলটি পড়তে এসেছেন, আমি এটা ধরে নিচ্ছি আপনি মার্কেটিং এ অনেক পরিশ্রম করছেন কিন্তু সফল হতে পারছেন না অথবা মার্কেটিং নিয়ে আপনার অসংখ্য আগ্রহ, যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে আজকের আমার এই আর্টিকেলটি আপনাকে সবথেকে বেশি স্পষ্টতা প্রদান করবে মার্কেটিং সম্পর্কে।
আমি এখানে মার্কেটিং এর দুটি গুরুত্বপূর্ণ ফর্মুলা আলোচনা করব, যা একদম ফান্ডামেন্টাল আলোচনা, এই দুটি ফর্মুলা বুঝতে পারলে আপনি ওভারঅল মার্কেটিং এর একটি বড় গেম বুঝতে পারবেন।
খুব ছোট করে মার্কেটিং আসলে কি?
মার্কেটিং হলো কোনো পণ্য বা সেবা সম্পর্কে মানুষকে জানানো এবং তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজ। এটা যেন একটা ব্রিজ, যার মাধ্যমে কোনো কোম্পানি তাদের পণ্য বা সেবা গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেয় এবং গ্রাহকরা সেগুলো কিনতে আগ্রহী হয়।
উদাহরণ: আপনি যখন কোনো নতুন মোবাইল ফোন কিনতে চান, তখন আপনি হয়তো বিভিন্ন কোম্পানির ফোন সম্পর্কে অনলাইনে বা টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন দেখেন। এগুলো হলো মার্কেটিং। এই বিজ্ঞাপনগুলো আপনাকে সেই ফোনগুলো সম্পর্কে জানায় এবং কেন আপনার সেই ফোনটি কিনতে হবে তা বোঝায়।
👉 আরেকটি বিশেষ কথা জানিয়ে রাখছি, যা জানলে হয়তো বা আপনি অবাক হবেন, মার্কেটিং এর মূল কাজ হচ্ছে প্রভাবিত করা। বলতে গেলে আপনি সেই প্রতিষ্ঠান এর পণ্য এবং সেবা গ্রহণ করছেন যে আপনাকে প্রভাবিত করতে পেরেছে। হতে পারে সেটা টুথপেস্ট, হতে পারে সেটা মোবাইল, অথবা আমাদের লাইফটাইম মেম্বারশিপ 🙂 আমি মার্কেটিং এর যতই রথি মহারথী হই না কেন, আমার অডিয়েন্সকে যদি আমি প্রভাবিত করতে না পারি, তাহলে আমি আমার মার্কেটিংয়ে সফল না।
আন্ডারলাইন করা বাক্যটা যেমন আমার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, সেরকম আপনার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তাহলে আপনি বুঝতে পেরেছেন ইনফ্লুয়েন্স অর্থাৎ প্রভাবিত করার গুরুত্ব কত বেশি 😱 আপনারা যদি আগ্রহ থাকেন তাহলে এরপর আমি কেস স্টাডি এবং সিরিজ ভিডিও তৈরি করব। অথবা আপনারা আমার এই হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে +8801316886988 মেসেজ করে জানাতে পারেন ভাইয়া আমাদের ইনফ্লুয়েন্সের উপর সিরিজ ভিডিও দরকার।
মার্কেটিং এর এই পাওয়ারফুল ফর্মুলা দুটি আপনি কোথায় ব্যবহার করতে পারবেন?
> আপনার ব্যবসায় ব্যবহার করতে পারবেন।
> আপনার পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং-এ ব্যবহার করতে পারবেন।
> আপনার যেকোনো আইডিয়াকে কাজে লাগাতে ব্যবহার করতে পারবেন।
মার্কেটিং এর দুটি পাওয়ারফুল ফর্মুলা:
আমরা এখন সোজাসুজি চলে যাব মার্কেটিংয়ের সে দুটি পাওয়ারফুল ফর্মুলা সম্পর্কে জানতে এবং উদাহরণসহ আমি আপনাদেরকে বুঝিয়ে দেব। একটি বিষয় শেয়ার করি শুধুমাত্র ফর্মুলা জানলেন তা হলো না, অবশ্যই আপনাকে ব্যবহার করতে হবে।
(০১) পারচেজ অ্যাকশন রেশিও:
আপনাকে কতজন মানুষ চেনে সেখান থেকে কত জন মানুষ আপনার পণ্য বা সেবাকে গ্রহণ করে। যেমন: আপনাকে টোটাল ১০ হাজার মানুষ জানে, সেখান থেকে মাত্র ২০০ জন আপনার পণ্য এবং সেবা গ্রহণ করল। ফর্মুলা অনুযায়ী আপনার পারচেজ একশন রেশিও হল: ০২%
ফর্মুলা = (২০০ জন পণ্য বা সেবা গ্রহণ করল / ১০ হাজার মানুষ জানে * ১০০)
কিছু গাইডলাইন:
> স্ট্যান্ডার্ড রেশিও ১০% উপরে, রাখতে হবে।
> আপনি প্রথম মাস থেকে বুঝতে পারছেন আপনার পারচেজ একশন রেশিও কম।
> দুই তিন মাস পর থেকে এই রেশিওর সংখ্যা বাড়াতে হবে।
> আপনার মার্কেটিং কমিউনিকেশন ভালো নয়, কমিউনিকেশন ভালো করতে হবে।
> টার্গেট অডিয়েন্স সত্যিকারের নয় সেটাকে নতুন করে সাজাতে হবে, ইত্যাদি।
(০২) ব্র্যান্ড এডভোকেসি রেশিও:
আপনার কাস্টমার কতগুলো সেখান থেকে তারা রেফার করছে কতজন মানুষকে? যেমন: আপনার কাস্টমার ১ হাজার জন সেখান থেকে রেফার হয়ে আপনার কাস্টমার হচ্ছে ৩০ জন।
ফর্মুলা অনুযায়ী আপনার পারচেজ একশন রেশিও হল: ০৩%
ফর্মুলা = (৩০ জন রেফার কাস্টমার / ১০০০ জন প্রথম কাস্টমার * ১০০)
কিছু গাইডলাইন:
> স্ট্যান্ডার্ড রেশিও ১০% উপরে, রাখতে হবে।
> আপনি প্রথম মাস থেকে বুঝতে পারছেন আপনার ব্র্যান্ড এডভোকেসি একশন রেশিও কম।
> দুই তিন মাস পর থেকে এই রেশিওর সংখ্যা বাড়াতে হবে।
> আপনার প্রোডাক্ট ভালো হলে মানুষ রেফার করবে।
> প্রোডাক্টের ফিচার এবং বেনিফিটস নিয়ে কাজ করতে হবে।
> আপনার পণ্য রেফার করলে কাস্টমার যাতে বেনিফিট পায় সেটা বিবেচনা রাখতে হবে।
শেষ কথা, আমি একটি জিনিস কে বিশ্বাস করি তা হল, আমার পণ্যকে আমি সবসময় সলুশন মনে করি আমার কাস্টমারের জন্য। আমার কাস্টমারের জন্য আমার সলিউশন যতক্ষণ না পর্যন্ত ভালোভাবে কাজ করছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমি মার্কেটিং নিয়ে ভাবি না, সেলস নিয়ে ভাবি না, টিম মেম্বার নিয়ে ভাবি না এবং টেকনোলজি নিয়েও ভাবি না।
আমি সব সময় চিন্তা করি আমার সলুশন কাস্টমার গ্রহন করছে কিনা? যাকে বলা হয় প্রোডাক্ট মার্কেট ভ্যালিডেশন। কারন আপনি যতক্ষণ পর্যন্ত আপনার প্রোডাক্ট কে মার্কেটে ভ্যালিডেশন করতে না পারবেন আপনি যতই মার্কেটিং করুন না কেন আপনার সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হতে বাধ্য। কিছুদিন হয়তো বা পুশ মার্কেটিং এর কারণে রেজাল্ট ভালো আসতে পারে কিন্তু দিনশেষে ফলাফল শূন্য হবেই।
তাই মার্কেটিং শুরু করার আগে এমন প্রোডাক্ট বা সেবা তৈরি করুন যা মার্কেটিং ছাড়াই বিক্রি হতেই থাকে। আর আপনার যদি মার্কেটে ভ্যালিডেশন হয়ে যায় তাহলে উপরের মার্কেটিং এর দুটি ফর্মুলা আপনি ব্যবহার করুন এবং আপনার ব্যবসাকে পরিমাপ করে করে সফল করুন।
আমাদের প্ল্যাটফর্ম থেকে নিয়মিত ব্লগ, ফ্রি অনলাইন কোর্স, প্রিমিয়াম কোর্স, মাস্টার ক্লাস সহ যত ধরনের আপডেট রয়েছে সবকিছু পেতে আমাদের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ রয়েছে সেখানে যুক্ত হয়ে যেতে পারেন, সেখানে আপনি সকল কিছুর আপডেট পেয়ে যাবেন।
WhatsApp Group For FREE Master Class
https://chat.whatsapp.com/CQnuCViAQ4c2KmHc1LlSzo
আমার এই পোস্টটি শেয়ার করুন, কোন মন্তব্য থাকলে অবশ্যই আমাদের পোস্টের নিচে মন্তব্য করার অপশন রয়েছে এবং যদি নতুন কোন বিষয় জানতে চান তাহলে অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন।
ধন্যবাদ
মোঃ রাশেদুল ইসলাম, ফাউন্ডার, স্কিলস রাইডার।