image

ধনী মানুষদের ৮টি গোপন রহস্য

 

আগেই বলে রাখছি এই পোস্টটি শুধুমাত্র টাকা পয়সা সংক্রান্ত না, আপনার ব্যক্তিগত জীবনকে উন্নতি করার জন্য, তাই একটু ধৈর্য ধরে পুরাটা পড়ুন, ৫ মিনিটে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনাকে কি কি একশন নিতে হবে? 

 

অভিজ্ঞতাকে বলা হয় সম্ভাব্য শক্তি এবং এই অভিজ্ঞতা আপনার সময় এবং শ্রমকে প্রচন্ড আকারে বাঁচাতে পারে। সেরকম আজকে আমরা ধনী মানুষদের ৮টি গোপন রহস্য দেখব যার মাধ্যমে আপনিও বুঝতে পারবেন অর্থনৈতিক মুক্তি এবং ব্যক্তিগত উন্নয়নের জন্য আপনি তাদের কি অভিজ্ঞতা আপনার জীবনে কাজে লাগাতে পারেন।  

 

ধনী মানুষের সাধারণ কিছু বৈশিষ্ট্য হলো:

✅ আর্থিক স্বাধীনতা: তাদের নিজস্ব অর্থ উপার্জনের উৎস আছে এবং তারা তাদের জীবনযাত্রা নিজের মত করে চালাতে পারে।

✅ সম্পদ: তাদের কাছে জমি, বাড়ি, গাড়ি, ব্যবসা বা অন্যান্য বিনিয়োগের মতো সম্পদ থাকে।

✅  উচ্চ আয়: তাদের আয় সাধারণ মানুষের তুলনায় অনেক বেশি হয়।

✅  বিনিয়োগের ক্ষমতা: তারা তাদের অর্থকে বিনিয়োগ করে আরো বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারে।

✅  জীবনযাত্রার মান: তাদের জীবনযাত্রার মান সাধারণ মানুষের তুলনায় অনেক উন্নত হয়।

 

ধনী মানুষদের ৮টি গোপন রহস্য

 

(০১) তারা বড় লক্ষ্যের দিকে ফোকাস করে 

আপনাকে একটি কথা মনে রাখতে হবে আপনি ছোট জায়গায় যতই পরিশ্রম করুন না কেন আপনার কোন পরিবর্তন আসবে না। আর ধনী মানুষরা এটা খুব ভালোভাবেই জানে, যার কারণে তারা বড় লক্ষ্যের দিকে ফোকাস করে।  

 

এখানে একটা কথা বলে রাখা ভালো শুধুমাত্র বড় লক্ষের দিকে ফোকাস রাখলে হবে না আপনাকে বেবি স্টেপ নিতে হবে সেই বড় লক্ষের দিকে পৌঁছানোর জন্য।  

 

একটি বিষয় খেয়াল করে দেখবেন আপনি লক্ষ্য বড় তৈরি করুন অথবা ছোট তৈরি করুন দুটোই কিন্তু তৈরি করতে আপনার টাকা লাগছে না, তাই লক্ষ্য সব সময় বড় রাখাই ভালো।  

 

(০২) আগে টাকা জমায় তারপর খরচ করে 

 

বিশ্বের বেশিরভাগ ধনী মানুষদের আপনি এই বৈশিষ্ট্যটি দেখতে পারবেন অর্থাৎ তারা জমাতে পছন্দ করে তারপর খরচ করতে। আমি এই নিয়মটি যেদিন শিখেছি আজ থেকে ১০-১২ বছর আগে, তখন থেকে কিন্তু আমি আগে জমাই তারপর খরচ করি।  

 

(০৩) আয়ের অধিক রাস্তা তৈরি করা: 

 

একটি আয়ের উপর নির্ভর করা মানে আপনি গরিব বা ধ্বংস হওয়ার জন্য শুধুমাত্র এক স্টেপ দূরে রয়েছে। একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে পৃথিবীতে প্রত্যেকটি ধনী মানুষের কমপক্ষে ছয়টি আয়ের উৎস রয়েছে এবং ৬টির মধ্যে কমপক্ষে চারটি থেকে নিয়মিত হয়ে আসে।  

 

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটিকে একটু ফলো করুন সেখানে আমরা ফাইনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট সংক্রান্ত অসংখ্য ভিডিও পাবলিশ করছি এবং ভবিষ্যতে করব।   

 

(০৪) পৃথিবীর সবথেকে দামি সম্পদ হচ্ছে নিজের উপর ইনভেস্ট করা

 

ধনী মানুষরা সব সময় নিজের অভিজ্ঞতা, নিজের জ্ঞান এবং নিজের বুদ্ধি তৈরি করার জন্য সবথেকে বেশি বিনিয়োগ করে। কারণ তারা এটা ভালোভাবে জানে টাকা কোন না কোন ভাবে ধ্বংস হতে পারে কিন্তু বুদ্ধি এবং অভিজ্ঞতা কখনো ধ্বংস হয় না।  

 

বিশ্বের সর্বোচ্চ ধনী ব্যক্তিরা বর্তমান কখনো নিজের টাকায় বিজনেস করে না, তারা সবসময় ব্যাংকের টাকা এবং বিনিয়োগকারির টাকা দিয়েই বিজনেস করে।  

 

(০৫) তারা শিখতে থাকে এবং অভিজ্ঞতা হয়ে ওঠে 

 

তাদের আরেকটি গুণ সব থেকে আকর্ষণীয় তা হলো তারা কখনো শেখা বন্ধ করে না। এবং এদের সাথে আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো তারা সবসময় হাই ইনকাম স্কিল গুলোর উপরে সবথেকে বেশি ফোকাস করে।  

 

(০৬) যে সম্পদ গুলো বোঝে সেখানে বিনিয়োগ করে

 

এটা খুব স্বাভাবিক যে সম্পদের উপর আপনার নিয়ন্ত্রণ রয়েছে সেখানে বিনিয়োগ করা উচিত। যেখানে আপনার নিয়ন্ত্রণ নাই, সেখানে বিনিয়োগ করলে লস হওয়ার সম্ভাবনা সব থেকে বেশি। 

 

যেমন ক্রিপ্টোকারেন্সি এখানে আপনার হাতে কোন নিয়ন্ত্রণ নেই, এরকম যে ব্যবসাগুলো আপনি বুঝেন না সেখানে যদি আপনি বিনিয়োগ করেন তাহলে সবার আগে আপনি টাকা নষ্ট করছেন।  

 

(০৭) গণনা করা যায় এমন ঝুঁকি নিতে হবে

 

ধনীরা ধনী তার প্রধান কারণ হচ্ছে, তারা গণনা করা যায় এমন ঝুঁকি নিতে পছন্দ করে। যে ঝুঁকি গণনা করা যায় আপনাকেও এরকম ঝুঁকি নিয়ে সামনে আগাতে হবে, একটি কথা মনে রাখবেন ফিক্সড মাইন্ড সেট যদি আপনার হয়ে থাকে তাহলে আপনি কখনো গণনা করা যায় এমন ঝুঁকি নিতে পারবেন না।  

 

আরামের জায়গা থেকে বের হয়ে আসতে হবে এবং গণনা করা যায় এমন ঝুঁকি নিতে হবে। দেখেন জীবনে পরিবর্তন হতে হলে, অন্তত একবার কনসালটেন্ট এর সাথে যোগাযোগ করুন তাদের সাথে কিছুদিন সময় অতিবাহিত করুন হতে পারে বিজনেস কনসালটেন্ট বা সাইকোলজিস্ট অথবা ফাইনান্সিয়াল কনসালটেন্ট।  

 

এনারা আপনাকে ক্যালকুলেটিভ ঝুঁকি নেওয়া দেখিয়ে দিতে পারবেন। 

 

(০৮) ছোট পরিসর হলেও একটি বিজনেস শুরু করা

 

পৃথিবীর প্রত্যেকটা ধনী ব্যক্তির মধ্যে এই বৈশিষ্ট্য আপনি দেখতে পারবেন যে তাদের একটি বিজনেস রয়েছে। যদিও বা অনেক ধনী ব্যক্তিরা বিনিয়োগ করে কিন্তু তারপরেও তাদের একটি বিজনেস থাকে।  

 

তারা ঐ সমস্ত বিজনেস গুলোর উপর ইনভেস্ট করে এবং বিজনেস পরিচালনা করে, যেগুলো এভারগ্রীন বলতে গেলে ৩০-৪০-৫০ বছর বিজনেস গুলোতে কেমন পরিবর্তন আসে না। 

 

যেমন: চকলেটের বিজনেস, টেস্টে শুধুমাত্র পরিবর্তন আসে বাট এর বেসিক জিনিসপত্র সব একই থাকে। সেরকম: কোমল পানীয়, গ্যাস এবং অয়েল, রিয়েল এস্টেট ইত্যাদি।  

 

সর্বশেষ আমি আশা করব এই আটটি পয়েন্ট আপনার অনেক বেশি সাহায্য করবে আপনার জীবনকে একটি নতুন বুষ্ট দেওয়ার জন্য। পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করবেন এবং পরবর্তী কোন বিষয়ের উপর আপনি জানতে চাচ্ছেন আমাদের এই পোষ্টের নিচে কমেন্ট করে জানাবেন।  

 

ধন্যবাদ 

মোঃ রাশেদুল ইসলাম, ফাউন্ডার, স্কিলস রাইডার