কিভাবে নিজের উদ্দেশ্যের উপর অটল থাকা যায়?
আত্মউন্নয়ন অর্থাৎ নিজের উন্নতি কে না চায়? একটি বিষয় আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনি পুরোপুরি বুঝতে সক্ষম হবেন তাহলো আপনি কিভাবে নিজের উদ্দেশ্যের উপরে পুরোপুরি অটল থাকবেন?
কেন আমরা উদ্দেশ্যের উপর অটল থাকবো?
👉 উদ্দেশ্য একটি কম্পাস হিসাবে কাজ করে, সিদ্ধান্ত নির্দেশ করে এবং জীবনের দিকনির্দেশনা দেয়, আমরা বর্তমানে কোথায় আছি আর আমাদেরকে কোথায় যেতে হবে?
👉 একটি সুস্পষ্ট উদ্দেশ্য অনুপ্রেরণা জোগায় এবং ব্যক্তিকে তার লক্ষ্য অনুসরণ করতে উৎসাহিত করে।
👉 উদ্দেশ্যের অনুভূতি ইতিবাচক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের সাথে যুক্ত, যার ফলে চাপ এবং বিষণ্ণতা হ্রাস পায়।
👉 একটি উদ্দেশ্য পূরণ করা আত্মসম্মান এবং আত্মমর্যাদা বৃদ্ধি করতে পারে।
👉 একটি উদ্দেশ্য অনুসরণ করা প্রায়শই ব্যক্তিগত বিকাশ এবং নতুন দক্ষতা শেখার দিকে পরিচালিত করে।
👉 উদ্দেশ্য নিয়ে জীবনযাপন করা পরিপূর্ণতা এবং দীর্ঘস্থায়ী তৃপ্তির অনুভূতির দিকে নিয়ে যায়।
👉 উদ্দেশ্যবোধ সম্পন্ন লোকেরা প্রায়ই স্বাস্থ্যকর জীবনধারা পছন্দ করে।
এতক্ষণ আমরা দেখলাম যে, আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য কতভাবে আমাদেরকে সাহায্য করে।
কিভাবে নিজের উদ্দেশ্য থাকতে হয়?
নিজের উদ্দেশ্যে অটল থাকার একটাই রাস্তা, এছাড়া আর কোন রাস্তা নেই, সেটা হচ্ছে “চরম ফোকাস”।
আপনাকে একটি সত্যিকারের উদাহরণ দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছি।
শুরুতে আপনি যেখানেই থাকুন না কেন, আপনার ডান হাতকে চোখের সামনে রাখুন। এবার হাতের দিকে তাকিয়ে থাকুন, দেখবেন সামনের বস্তুগুলোকে ঠিকমতো দেখতে পাচ্ছেন না।
এবার একটু হাতটা সরিয়ে সামনের বস্তুগুলোর দিকে তাকান, দেখবেন হাতকে ভালোভাবে দেখতে পারবেন না।
ব্যাপারটি হলো আপনি যেখানে সবথেকে বেশি “ফোকাস” করবেন সে জায়গাটা আস্তে আস্তে বড় হতে থাকবে, সেরকম আপনার উদ্দেশ্য থেকে আপনার ফোকাস চলে গেলে কোনোভাবেই উদ্দেশ্যে অটল থাকতে পারবেন না।
(i) একইভাবে,
জীবনে যদি শুধুমাত্র সমস্যাগুলোর দিকে “ফোকাস” করেন, তাহলে সমস্যা বড় হতেই থাকবে, সমাধান আর খুঁজে পাবেন না।
আবার যখনই শুধুমাত্র সমাধান খোঁজার কথা চিন্তা করবেন এবং “ফোকাস” করবেন তখন শুধু সমাধানই খুঁজে পাবেন।
(ii) একইভাবে,
দুই ভাই, পিতার আকস্মিক মৃত্যুতে, এক ভাই বলছে আমরা এখন বরবাদ হয়ে গেলাম, আমাদের আর কিছুই রইল না, আমরা ভবিষ্যতে কি করব? (চোখেমুখে হতাশার ছাপ)
আরেক ভাই চিন্তা করছে বাবার মৃত্যু হয়ে গেল, আমার দায়িত্ব আরো বেড়ে গেল, আমাকে এখন আরো ভালো কিছু করতেই হবে (প্রগতিশীল দৃষ্টিভঙ্গি)
সমস্যা থেকে আপনি শতভাগ নিশ্চিত বের হতে পারবেন। দুটো ঘটনা এখানে উল্লেখ করলাম, ঘটনাগুলোকে একটু মনোযোগ দিয়ে চিন্তা করুন তাহলে পুরো বিষয়টি বুঝতে পারবেন যে কেন আপনার সাথে এই বিষয়গুলো হচ্ছে?
“ঘোড়া” এমন একটি পশু, ডানেও দেখতে পারেনা, বায়োও দেখতে পারে না, শুধুমাত্র সামনাসামনি দেখে লক্ষ বস্তুর দিকে দৌড়াতে থাকে। নিজের উদ্দেশ্যের দিকে এইরকম ভাবে “ফোকাস” রাখুন অর্থাৎ ঘোড়ার মত।
সবশেষে একবার আপনার উদ্দেশ্য চূড়ান্ত হয়ে গেলে ঘোড়ার মত নিজেকে আচরণ করুন।
আমি রাশেদুল ইসলাম কোন গল্পগুজব বা কল্পকাহিনীতে বিশ্বাস করিনা। বাস্তবসম্মত এবং শিক্ষনীয় কনটেন্ট নিয়মিত এই স্কিলস রাইডার প্লাটফর্মে পাবলিশ করে যাবো, আর বিশেষ করে বিজনেস রিলেটেড কনটেন্টগুলো নিয়মিত আমি এই প্লাটফর্মে পাবলিশ করবো।
ধন্যবাদান্তে 🙏
রাশেদুল ইসলাম, ফাউন্ডার স্কিলস রাইডার