image

কীভাবে আমি অর্থ উপার্জন করব?

 

প্রথমে আপনাকে স্বাগতম যে আপনি একটি সঠিক জায়গায় এসেছেন আপনার প্রশ্নটির উত্তর খোঁজার জন্য। আমাদের আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনি একটি পূর্ণাঙ্গ ধারণা পেয়ে যাবেন যে কিভাবে আমরা অর্থ উপার্জন করে থাকি? 

 

অর্থ উপার্জন করার জন্য যতগুলো পদ্ধতি আপনি জানেন আজকেরটা হবে আপনার জন্য সেরা একটি মৌলিক পদ্ধতি যেখান থেকে মূলত শুরু হয়েছে সকল অর্থ উপার্জনের শাখা উপ শাখা। 

 

আপনি নিজেকে এমন একটি চৌরাস্তায় দাঁড়িয়ে কল্পনা করুন, যেখানে প্রতিটি পথ জীবিকা উপার্জনের একটি ভিন্ন পদ্ধতির দিকে নিয়ে যায়। 

 

সুযোগ এবং চ্যালেঞ্জে পরিপূর্ণ একটি বিশ্বে, একটি সফল আর্থিক ভবিষ্যত তৈরির জন্য এই পথগুলি বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ 

 

এই পৃথিবীতে আপনি মূলত চার ভাবে টাকা ইনকাম করতে পারবেন এই ৪টি হচ্ছে মূলভিত্তি।   

 

(১) Being Employed - কারও অধীনে চাকরি করা (ফুল-টাইম জব, পার্ট-টাইম জব, কন্ট্রাকচুয়াল জব, সিজনাল জব ইত্যাদি)

 

(২) Being Self Employed - নিজে নিজেই স্বনির্ভর হওয়া (ফ্রীল্যানসিং, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, দোকান দিয়ে পণ্য বিক্রি করা, ডাইরেক্ট সেলিং ইত্যাদি)

 

(৩) Being Business - পণ্য এবং সেবাকে বিক্রি করা (প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে পণ্য ও সেবা কে বিক্রি করা)

 

(৪) Being Investment - অন্যের ব্যবসায় বিনিয়োগ করা (স্টক, বন্ড, ফিক্সড ডিপোজিট, কমোডিটি, রিয়েল এস্টেট, ফান্ডস ইত্যাদি)

 

উপরের তালিকা থেকে এক এবং দুই নাম্বারে পৃথিবীর ৮০% লোক তাদের জীবিকা নির্বাহ করছে আর বাকি ২০% লোক (৩) এবং (৪) নাম্বারে তাদের জীবিকা নির্বাহ করছে।

 

আর এই (৩) এবং (৪) নাম্বারের হাতেই পৃথিবীর ৮০% সম্পদ। অর্থাৎ ব্যবসায়ী এবং বিনিয়োগ কারীদের কাছেই পুরো পৃথিবীর ৮০% সম্পদ রয়েছে। 

আপনি আপনার এলাকার আশেপাশে একটু খোঁজখবর নিয়ে দেখুন যাদের হাতে সব থেকে বেশি ধন-সম্পদ রয়েছে এর মধ্যে বেশিরভাগ দেখবেন ব্যবসায়ী এবং বিনিয়োগকারী।  

 

বিষয়টি আমি আরেকটু পরিষ্কার করে দিচ্ছি, আপনার আশেপাশে যারা সফল ব্যবসায়ী তারা দেখবেন একটি জায়গায় সফল হওয়ার পরে আরো দু-তিনটা জায়গায় তারা বিনিয়োগ করা শুরু করে দেয়।  যেমন ধরুন কেউ ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের ব্যবসা করছে, সেই ব্যবসায় সফল হওয়ার সাথে সাথে সে দেখবেন কাপড়ের ব্যবসা এবং জুতার ব্যবসায় নতুন করে অর্থ বিনিয়োগ করছে।    

 

আপনাকে একটি কথা অবশ্যই মনে রাখতে হবে, আপনার শুধুমাত্র স্কুল-কলেজের শিক্ষা আপনাকে (১) এবং (২) নাম্বার শ্রেণীতে রাখবে অর্থাৎ আপনি হয় চাকরিজীবী হবেন না হলে আত্মনির্ভরশীল হবেন।  

 

স্কুল-কলেজের শিক্ষা'র বাহিরে এমন কিছু স্কিল আছে যা আপনাকে (৩) এবং (৪) নাম্বারে খুব তাড়াতাড়ি পৌঁছে দিবে, মানে বিনিয়োগকারী এবং ব্যবসায়ী শ্রেণীতে।     

 

এখন আপনি নিজেই সিদ্ধান্ত নিন আসলে আপনি কিভাবে টাকা ইনকাম করতে চাচ্ছেন, আর সে এভাবেই আপনি নিজেকে প্রস্তুত করেন সময়ের সাথে সাথে। 

 

এই দুনিয়াতে এই চারটি পদ্ধতি হলো অর্থ উপার্জন করার প্রধান শাখা। এখন ধরুন কেউ বিকাশের এজেন্টের ব্যবসা করছে, কেউ ভালো কেক তৈরি করে ব্যবসা করছে, কেউ বড় বেসরকারী কোম্পানির ইঞ্জিনিয়ার, কেউ ধরুন শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করছে ইত্যাদি। যেভাবেই মানুষ অর্থ উপার্জন করুক না কেন উপরের চারটি শ্রেণীর যে কোন একটিতে তাকে থাকতেই হবে।  

 

আমাদের এই পোস্ট গুলো ভাল লাগলে শেয়ার করুন, এবং নিচে কমেন্ট বক্সে অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্য করুন যে পরবর্তী পোস্টে আপনারা কোন বিষয়ে জানতে চাচ্ছেন? 

 

ব্যক্তিগত অর্থায়ন, ডিজিটাল মার্কেটিং, ডিজিটাল কৌশল, স্বল্প পুঁজি, ব্যবসায়িক মডেল, ছোট ব্যবসার জন্য পরামর্শ, স্টার্টআপ স্ট্র্যাটেজি, ক্ষুদ্র ব্যবসা, সফট স্কিল এবং হার্ড-স্কিল সম্পর্কিত সকল ধরনের পোস্ট আমাদের এই স্কিলস রাইডার প্ল্যাটফর্মে আপনি পেয়ে যাবেন।  

 

ধন্যবাদ 🙏

মোঃ রাশেদুল ইসলাম, লীডারশীপ ট্রেইনার এবং বিজনেস কনসালটেন্ট