কীভাবে টাকা বাড়ানো যায়, সেরা বিনিয়োগ পরামর্শ কী?
কে না চায় তার টাকাকে বৃদ্ধি করতে? আপনি যদি বিনিয়োগ সম্পর্কে খুব আগ্রহী হয়ে থাকেন এবং বিনিয়োগের মাধ্যমে আপনার টাকাকে বৃদ্ধি করতে যদি চান তাহলে পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন, কারণ এখান থেকেই আপনি সবচেয়ে আধুনিক এবং বাস্তবসম্মত টেকনিক পেয়ে যাবেন।
টাকাকে বাড়ানোর জন্য বেশ কিছু জায়গা আছে, সেই জায়গাগুলোকে আসুন আগে একটু দেখে নেই। আসলেই যদি আমরা বর্তমান টাকাকে বৃদ্ধি করতে চাই তাহলে কিভাবে বৃদ্ধি করতে পারব?
কোথাও টাকা বিনিয়োগ করলে কিরকম রিটার্ন পাওয়া যায়?
👉 কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ফিক্সড ডিপোজিট যদি আমরা এই মুহূর্তে করি তাহলে ১২ বছর সময় লাগবে টাকাকে দ্বিগুণ করতে হলে।
👉 ঋণ তহবিল (debt fund)ঃ এখানে যদি আমরা বিনিয়োগ করি তাহলে প্রায় ১২ বছর লাগবে টাকা দ্বিগুণ করতে।
👉 রিয়েল এস্টেট এর বর্তমান অবস্থা বেশ করুণ, সেখানে টাকা দ্বিগুণ হতে কমপক্ষে ১৬ থেকে 20 বছর লাগবে।
👉 সোনাতে টাকা ইনভেস্ট করা যেতে পারে। সেখানে ৮ থেকে ১২ শতাংশ রিটার্ন পাওয়া যায়, দ্বিগুণ হতে ৮ বছরের উপরে সময় লেগে যেতে পারে।
👉 সেভিংস একাউন্টে ৩-৫ পারসেন্ট রিটার্ন পাওয়া যায়, যেখানে আজকের হিসাব অনুযায়ী যদি টাকা জমা রাখা যায় তাহলে দ্বিগুণ হতে প্রায় ২০ বছর লেগে যাবে।
👉 কারেন্ট একাউন্টে 0 রিটার্ন, সেখানে কোনোভাবেই দ্বিগুণ করার কোন বুদ্ধি নাই।
👉 শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করা যায়, কিন্তু বর্তমানে কিছু নেতিবাচক অবস্থার কারণে অনেকেই সেখানে বিনিয়োগ করার মত আস্থা হারিয়ে ফেলেছে।
তাহলে এখন প্রশ্ন হচ্ছে কোথায় বিনিয়োগ করা যায়? তারমধ্যে একটি বিষয় হচ্ছে যদি আপনার কোনো আর্থিক জ্ঞান না থাকে তাহলে বিনিয়োগ করার কোন প্রশ্নই আসে না।
আর্থিক জ্ঞান ছাড়া আপনি যেখানেই বিনিয়োগ করতে যান না কেন, আপনাকে অবশ্যই বেশ কিছুটা ঝুঁকি নিতেই হবে এবং আমার ব্যক্তিগত মতামত হবে আর্থিক জ্ঞান ছাড়া বিনিয়োগ করা একদম বোকামি।
তাই টাকাকে বৃদ্ধি করা অর্থাৎ দ্বিগুণ, চারগুণ, ৫গুন এমনকি ৫০গুন ও আপনি করতে পারবেন, এর জন্য তিনটি রাস্তাকে অবলম্বন করা যেতে পারে।
বিনিয়োগ করার জন্য আধুনিক ৩টি সেরা পন্থা কি?
1️⃣ স্পষ্টতা হল চরম শক্তিশালী একটি বিষয়। যদি আপনি আপনার টাকাকে দ্বিগুণ করতে চান তাহলে আপনার লার্নিং অর্থাৎ স্পষ্টতাকে আগে তিনগুণ বৃদ্ধি করতে হবে। পৃথিবীর কেউ আপনার টাকাকে বৃদ্ধি করে দিতে পারবে না, আপনার টাকা আপনার বুদ্ধি দিয়েই বাড়াতে হবে।
কিভাবে টাকাকে বৃদ্ধি করতে হয় তারজন্য আপনার ভিতর চরম আকারে স্পষ্টতা তৈরি করতে হবে আর স্পষ্টতা চুম্বকের মত কাজ করে, এই স্পষ্টতা আপনার ভিতরে ফোকাস তৈরি করবে যা কম্পাউন্ড ইফেক্টের গতিতে বৃদ্ধি পেতে থাকবে।
তাই সবার আগে স্পষ্টতা তৈরি করার জন্য আপনাকে আগে শিখতে হবে, তারপর আপনি টাকাকে কিভাবে মাল্টিপ্লাই করবেন সেটা স্পষ্টতাই আপনাকে শিখিয়ে দেবে।
আমরা এই বিষয়ে আরো বিস্তারিত গাইডলাইন নিয়ে আসছি। আমাদের সাথেই থাকুন সেখান থেকে আপনি আরো বিস্তৃত জানতে পারবেন।
বিষয়টা শুনতে একটু অবাক লাগতে পারে, তবে সত্য হচ্ছে এটাই যে আপনাকে বিনিয়োগের বিভিন্ন কলাকৌশল শিখতেই হবে এবং সেগুলো অবশ্যই একশন অরিয়েন্টেড লার্নিং নিতে হবে। একশন অরিয়েন্টেড লার্নিং সেই জ্ঞান বা অভিজ্ঞতা যা আপনি ব্যবহার করতে পারবেন।
2️⃣ স্টার্টআপঃ বর্তমানে এটি এমন একটি নোট ছাপার মেশিন, যারা বুঝতে পারে তারা তাদের সমস্ত সময়, শক্তি এবং অর্থ এখানেই বিনিয়োগ করে।
উদাহরণ দিতে হলে বেশিদূর যেতে হবে না, বর্তমান ভারত হচ্ছে ইউনিকর্ন অর্থাৎ বিলিয়ন ডলারের স্টার্টআপ তৈরি করাতে পুরো পৃথিবীতে ১০ নম্বর রেংকিং এর ভিতর ৩ নাম্বারে চলে এসেছে।
১০ থেকে ১৫ বছর আগে একটি বিলিয়ন ডলারের স্টার্টআপ তৈরি করার জন্য দশ বছর সময় অপেক্ষা করা লাগতো, পরিসংখ্যান বলছে এখন ভারতে ৯ দিনে একটা করে বিলিয়ন ডলারের স্টার্টআপ তৈরি হচ্ছে। তাহলে আমার কথা অনুযায়ী এখন আপনি বুঝতেই পারছেন যে স্টার্টআপ হচ্ছে একটি নোট ছাপার মেশিন।
ব্যাংকে যে টাকা ডাবল হতে ১২ বছর সময় লাগে। আপনি যদি সময় উপযোগী কোন স্টার্টআপ শুরু করতে পারেন এবং ভালো মেন্টর এর গাইডলাইন নিয়ে যদি এটাকে পরিচালনা করতে পারেন তাহলে টাকাকে আপনি বছরে ১০০%, ২০০% এবং ৩০০% হারে বৃদ্ধি করতে পারবেন। (স্টার্টআপ এর উপরে বেশ কিছু পোস্ট আমি তৈরি করেছি এবং খুব শীঘ্রই এই স্কিলস রাইডার প্লাটফর্মে পাবলিশ করে দিব)
3️⃣ বিনিয়োগ একটা গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক দক্ষতার মধ্যে একটি। বর্তমান বাংলাদেশের প্রায় ৯০% মানুষের ভিতরে এই দক্ষতাটা নাই বললেই চলে। বিনিয়োগের অনেক ধরনের ভাগ আছে, বুঝেশুনে যদি করতে পারেন তাহলে টাকা দ্বিগুণ এবং তিনগুণের চাইতেও আপনি অনেকগুণ বেশি রিটার্ন আপনি পেয়ে যেতে পারেন একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই।
বিনিয়োগ যে শুধু শেয়ারবাজারে করতে হয় তা কিন্তু না, আপনি বিভিন্ন ধরনের স্টার্টআপ এবং বিভিন্ন ধরনের ব্যবসার উপরে বিনিয়োগ করতে পারেন। এর জন্য আপনাকে বিনিয়োগের প্রাথমিক এবং ফান্ডামেন্টাল জ্ঞান অবশ্যই থাকতেই হবে।
এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে ভাই আমি তো স্টার্টআপ বুঝিনা, এখানে কিভাবে তাহলে আমি বিনিয়োগ করব?
সবার প্রথমে আপনি আমাদের অফিশিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার +8801316886988 অথবা ইমেইলে সাবস্ক্রিপশন করে রাখুন। কারণ এখানে আমরা নিয়মিত আপনাকে আপডেট প্রদান করবো বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিভিন্ন দক্ষতা এবং নির্দেশিকার উপর।
দ্বিতীয়ত, বিনিয়োগ সংক্রান্ত আমাদের এখানে আরো অনেক আর্টিকেল রয়েছে যেগুলো আপনি নিয়মিত করার মাধ্যমে বেশকিছু ফান্ডামেন্টাল অর্থাৎ মৌলিক ধারণা পেয়ে যাবেন। তবে এখানেই শেষ নয়, আপনাকে প্রতিদিন এক থেকে দুইঘন্টা করে বিনিয়োগ নিয়ে আরো চর্চা করতে হবে।
ছোট ছোট পাইলট ইনভেস্টমেন্ট করার পর সেখান থেকে পর্যালোচনা করে আপনাকে বড় বড় ধাপ গ্রহণ করতে হবে, তবে এটি একটি সময় সাপেক্ষ বিষয়। ধৈর্য নিয়ে আপনাকে এগোতে হবে।
একটি কথা আপনাকে মাথায় রাখতে হবে, যেহেতু এই পোস্টটি একটি ব্যক্তিগত ফাইন্যান্স সংক্রান্ত পোস্ট তাই একটি সতর্কতা দেয়া হলো, যেখানে বিনিয়োগ করে রিটার্নের হার অনেক বেশি সেখানে কিন্তু ঝুঁকিও অনেক বেশি।
বিনিয়োগের উপর বেশকিছু পোস্ট আমি এই স্কিলস রাইডারের প্লাটফর্মে নিয়মিত পাবলিশ করে যাব এবং বেশ কিছু অ্যাকশন অরিয়েন্টেড টিপস আমি শেয়ার করব বিনিয়োগের উপরে।
আমার এই পোস্টটি আপনাদের ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন (হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক টুইটার, লিঙ্কডইন, সহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন গ্রুপে) আপনাদের পরিচিত বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে। আর অবশ্যই কমেন্ট করে আমাকে উৎসাহিত করবেন যাতে আমি পরবর্তীতে এইধরনের ভাল ভাল পোষ্ট আপনাদের সামনে নিয়ে উপস্থিত হতে পারি।
ব্যবসার পুঁজি, স্বল্প পুঁজি, ক্ষুদ্র ব্যবসা, ব্যবসা পরিকল্পনা, উদ্যোগ, লাভজনক ব্যবসা, অনলাইনে বিক্রি করা, পণ্য উন্নয়ন, বিনিয়োগ পরামর্শ, ব্যবসার আইডিয়া এবং ক্যারিয়ার ওরিয়েন্টেড আধুনিক সব কনটেন্ট পেতে আমাদের পোস্টগুলোকে নিয়মিতভাবে অনুসরণ করুন।
ধন্যবাদান্তে 🙏
রাশেদুল ইসলাম, লীডারশীপ ট্রেইনার এবং বিজনেস কনসালটেন্ট