৫০ হাজার টাকা খাটিয়ে মাসে কিভাবে ১০ হাজার টাকা আয় করবো?
আপনাদের করা প্রশ্নগুলোর মধ্য থেকে, সবচেয়ে বেশি পাওয়া প্রশ্নগুলোর উপর ভিত্তি করে আজকে একটি পোষ্ট লিখেছি।
আপনি যদি জানতে আগ্রহী থাকেন যে ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে কিভাবে প্রতিমাসে ভালো পরিমান অর্থ উপার্জন করা যায়, তা হলে আজকের পোস্টটি আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট হতে চলেছে।
শুধুমাত্র ১০ হাজার টাকা উপার্জন না করে কিভাবে এর থেকে বেশি অর্থ উপার্জন করা যায় সেই বিষয়টি আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে দেখিয়ে দেব।
কিভাবে বেশি বেশি টাকা আয় করতে হয়?
আমরা ধরেই নিলাম যে আপনি একদম শূন্য থেকে শুরু করবেন, সেরকম একটি গাইড লাইন আপনাকে এখানে দেওয়া হবে।
বর্তমান সময়ে বেসিক ইনফরমেশন টেকনোলজি সবাই মোটামুটি জানে, আর যারা জানে না তাদেরকে শিখতে সর্বোচ্চ ৬ মাস থেকে ৯ মাস লেগে যেতে পারে।
অর্থাৎ এটি আহামরি কোনো ব্যাপার না যদি নিয়মিত প্রতিদিন তিন ঘণ্টা করে সময় দেওয়া যায়।
আমরা এই পোস্টের শিরোনামে দেখতে পাচ্ছি যে কিভাবে ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে মাসে ১০ হাজার টাকা উপার্জন করা যায়?
আপনার এই চিন্তাশক্তিকে আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে আরো বড় করে দেখাবো যে আসলে এই ৫০ হাজার টাকা দিয়ে কত কি করা যায়!
ডিজিটাল জগতে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে কি কি করা যায় তার শুধুমাত্র একটি উদাহরণ আমি এই পোষ্টের মাধ্যমে দিব, আরো শ'খানেক বাস্তবসম্মত এবং পরীক্ষিত উদাহরণ তো রয়েই গিয়েছে।
যারা নতুন তাদের জন্য এই পোস্টটি হবে একটি যুগান্তকারী পোস্ট, আর যারা একটু স্ট্রাগল করছেন তাদের জন্য এই পোস্টটি হবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
-
- বাজেটের বিশ হাজার টাকা দিয়ে কম্পিউটার (Desktop) কিনতে হবে।
- বাকি ১০ হাজার টাকা দিয়ে সবথেকে ভালো একটি ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করতে হবে।
- ৫ হাজার টাকা দিয়ে একটি প্রফেশনাল মানের ওয়েবসাইট এবং চার-পাঁচটা সোশ্যাল মিডিয়ার পেজ তৈরি করা যাবে, লোগো এবং কিছু মার্কেটিং টুলস সহ।
- বাকি ৫ হাজার টাকা প্রথম মাসের পেইড ক্যাম্পেইনের পিছনে খরচ করতে হবে।
- যার কাছ থেকে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখবেন তিনি যদি একটি আধুনিক ডিজিটাল মার্কেটিং ফানেল তৈরি করা শিখিয়ে দিতে পারেন তাহলে প্রথম সাত দিনের মধ্যে মিনিমাম ১৫টি (USA or UK) কাস্টমার আপনি পেয়ে যাবেন নিশ্চিত। আপনি দেশীয় ক্লায়েন্ট নিয়েও কাজ করতে পারবেন যদি আপনি কাজ করতে চান।
- পুরো প্রক্রিয়াটিকে সম্পন্ন করতে ৯০দিন সময় লাগতে পারে, আপনাকে শিখতে হবে এবং ধৈর্য ধরে এই ৯০দিনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
- ডিজিটাল জগতে আমি এমন মানুষজনদেরকে চিনি এবং জানি তারা ৩০ দিনে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পেরেছে শুধুমাত্র ডিজিটাল মার্কেটিং এর সার্ভিস দেওয়ার মাধ্যমে।
এ তো গেল ডিজিটাল মার্কেটিং এর ব্যাপার-স্যাপার, আপনি যদি শুধুমাত্র ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভিতর থেকে একটি বিষয়বস্তুকে নিয়েও কাজ করেন তাহলেও মাসে আপনি এক লক্ষ টাকা থেকে দুই লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
যেমন:
-
- ফেসবুক মার্কেটিং অথবা
- ইমেইল মার্কেটিং
আমি এর আগেও বলেছি যে ডিজিটাল প্রোডাক্ট এর চাহিদা এবং মার্কেটের ট্রেন্ড খুবই ভালো অর্থাৎ সমসাময়িক ডিজিটাল প্রোডাক্ট যদি আপনি তৈরি করতে পারেন, তাহলে শুধু আপনি হাজার টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবেন না, আপনার ইনকামের রাস্তা কোটি টাকা পর্যন্ত চলে যেতে পারে।
এখানে মূল যে বিষয়টি সেটি আমি আপনাকে একটু সংক্ষিপ্ত আকারে আবার বুঝিয়ে দিচ্ছি,
👉 আপনাকে একটি সার্ভিস বিক্রি করতে হবে।
👉 এর জন্য যেকোনো একটি বিষয়ের উপর আপনাকে দক্ষ হতে হবে। যেমন: ফেসবুক মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট, এফিলিয়েট মার্কেটিং ইত্যাদি।
👉 যখন আপনি সার্ভিস বিজনেস শুরু করবেন তখন আপনার বিনিয়োগ অনেক কম লাগবে এবং আপনি শুরু থেকেই ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন যা দিয়ে আপনার নিত্য প্রয়োজনীয় খরচ মেটাতে পারবেন।
👉 যদি সার্ভিসগুলো আপনার জানা না থাকে তাহলে প্রশিক্ষণ নিয়ে সেগুলোর উপর দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
গুরুত্বপূর্ণ একটি কথা দিয়ে শেষ করছি সেটি হচ্ছে, আমি একটি বিষয় বিশ্বাস করি তা হল কত টাকা ইনকাম করব এই জায়গায় আমি সবথেকে ফোকাস কম দেই।
আমি সবসময় বেশি ফোকাস দেই আমি যে মার্কেটের সার্ভিস করছি সে মার্কেটের সাইজ কত বড় আর এ মার্কেটের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলো আমি কিভাবে সমাধান করে দিতে পারব?
তাই আপনাকে এই মেন্টালিটি তৈরি করে নিতে হবে, অর্থাৎ আপনাকে বিশ্বাস করতে হবে এবং ধৈর্য ধরে সময় নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
যদি এই ক্ষেত্রে আপনি অনেকটা দুর্বল মনে করেন নিজেকে তাহলে একটি ভালো মেন্টর খুঁজুন, আমি কথাটিকে আবার বলছি আপনি একটি ভালো মেন্টর খুঁজুন যে আপনাকে সাহায্য করতে পারে।
এখানে যে এমাউন্টের কথা উপরে উল্লেখ করা হয়েছে তার থেকেও কয়েক গুণ অর্থাৎ ২৫ থেকে মিনিমাম ৩০ গুণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন আপনি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের শক্তিগুলোকে কাজে লাগিয়ে।
আমি রাশেদুল ইসলাম কোন গল্প এবং কাহিনীতে বিশ্বাস করিনা। বাস্তবসম্মত কনটেন্ট এবং শিক্ষনীয় কনটেন্ট নিয়মিত আমাদের স্কিলস রাইডার প্লাটফর্মে পাবলিশ করে যাব আর বিশেষ করে বিজনেস রিলেটেড কনটেন্টগুলো নিয়মিত আমি এই প্লাটফর্মে পাবলিশ করে যাব।
পোষ্টের নিচে কমেন্ট সেকশনে আপনার গুরুত্বপূর্ণ কমেন্ট আমি আশা করছি। আমি বুঝতে পারবো যে আপনাদের এই বিষয় সর্ম্পকে অনেক আগ্রহ আছে। আর পরবর্তী কোন বিষয়ের উপরে কনটেন্ট অথবা ব্লগ পোস্ট চাচ্ছেন সেই বিষয়ে মন্তব্য করে জানিয়ে দিন।
ধন্যবাদ 🙏
রাশেদুল ইসলাম, লীডারশীপ ট্রেইনার এবং বিজনেস কনসালটেন্ট