image

ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কী?

 

আপনি যদি অনলাইন মার্কেটিং এবং ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত একটি পোস্ট হবে এটি।  

 

আমাদের এই প্লাটফর্মে ডিজিটাল মার্কেটিং সংক্রান্ত অসংখ্য পোস্ট এবং ই-বুক আপনি পেয়ে যাবেন। ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট ইতোমধ্যে লেখা হয়ে গিয়েছে সেগুলো আপনি দেখে নিতে পারেন। 

 

ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং এই ডিজিটাল মার্কেটিং-এর ভবিষ্যৎ কেমন এই বিষয়ে আপনি আজকে খুবই বিস্তারিত এবং সুস্পষ্ট ধারণা পেয়ে যাবেন। চলুন শুরু করা যাক আজকের এই পোস্টটি।

 

ডিজিটাল মার্কেটিং কি? 

 

খুব সহজভাবে আমি এই বিষয়টিকে বুঝিয়ে দেবো। এককথায় ডিজিটাল মার্কেটিং হল ডিজিটাল ডিভাইস এবং প্ল্যাটফর্মগুলোতে মার্কেটিং করাকে-ই বলা হয় ডিজিটাল মার্কেটিং। 

 

যেমন ফেসবুক একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম, এখানে প্রতিদিন ২০০ থেকে ২৫০ কোটি মানুষ আসে তাদের সময় কাটাতে। বিভিন্ন ক্যাটাগরির এবং শ্রেণী-পেশার মানুষ এখানে রয়েছে। ধরুন, আপনি বাচ্চাদের খেলনা বিক্রি করেন। বাচ্চার বাবা-মাকে টার্গেট করে আপনি এখানে মার্কেটিং করতে পারবেন। 

 

এই যে মার্কেটিংটা আপনি করলেন এটাকেই বলা হয় ডিজিটাল মার্কেটিং। 

 

ডিজিটাল মার্কেটিং একটি বড় ক্ষেত্র, যার ভিতরে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং, হোয়াটসঅ্যাপ মার্কেটিং, সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং ইত্যাদি।  

 

বর্তমান কেন দিনদিন ডিজিটাল মার্কেটিং জনপ্রিয় হচ্ছে? 

 

খুব সহজেই মার্কেটিং ক্যাম্পেইন করে এখানে ফলাফল পাওয়া যায়, তাই এই মার্কেটিং পদ্ধতিটি দিন দিন অনেক জনপ্রিয় হয়ে যাচ্ছে।  

 

যেমন আগে আউটডোর মার্কেটিং এর মধ্যে আপনি যদি বিলবোর্ড মার্কেটিং করতেন তাহলে আপনার লক্ষ টাকার উপরে খরচ পড়ে যেত।  

 

বর্তমান সেই মার্কেটিংটা করতে আপনার অল্প কয়েক হাজার টাকা খরচ হচ্ছে এবং আপনি ফলাফল পরিমাপ করে পরবর্তী মার্কেটিং এর কলাকৌশলগুলোকে নির্ধারণ করতে পারছেন।  

 

অর্থাৎ আগে যখন আপনি বিলবোর্ড মার্কেটিং করতেন তখন কিন্তু আপনি ফলাফলকে ট্র্যাক করতে পারতেন না। বর্তমান ডিজিটাল মার্কেটিং পদ্ধতিতে সেটা সম্ভব।  

 

এখানে একটি কাস্টমারের জার্নিকে খুব সুন্দরভাবে বোঝা যায়, কাস্টমার কোন পর্যায়ে রয়েছে এবং ভবিষ্যতে কোন পর্যায়ে যেতে পারে তা আপনি একটু হলেও খুব ভালোভাবে আন্দাজ করতে পারবেন তথ্যের বিশ্লেষণ করে।  

 

এছাড়াও ডিজিটাল মার্কেটিং-এর জনপ্রিয়তার আরেকটি বড় কারণ হচ্ছে, দিন দিন সাধারণ মানুষ ডিজিটাল ডিভাইসগুলোতে অনেক বেশি জড়িত হয়ে পড়ছে। সহজ ভাষায় বলতে গেলে স্মার্ট ফোন এবং ইন্টারনেট খুব সহজলভ্য হয়ে গিয়েছে এবং সাধারণ জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছে।  

 

এই যে সাধারণ মানুষের কাছে ডিজিটাল ডিভাইসগুলো খুব সহজেই পৌঁছে গিয়েছে সেই কারণে ডিজিটাল মার্কেটিং দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।   

 

বড় বড় বিজ্ঞাপন দাতারা এখন youtube এবং facebook কে বিজ্ঞাপনের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।  

 

বাংলাদেশের স্বনামধন্য সকল কোম্পানিগুলো এখন ইউটিউব এবং ফেসবুকে নিয়মিত বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। কারণ তারা বুঝতে পেরেছে সনাতনী পদ্ধতিতে বিজ্ঞাপন করে তাদের খরচ অনেক বেশি হয়ে যাচ্ছে এবং রেজাল্ট তারা পরিমাপ করতে পারছিল না।  

 

আর এই ডিজিটাল চ্যানেলগুলোর কারণে কোম্পানিগুলো খুব সহজেই তার পণ্য এবং সেবা কে অল্পকিছু বাজেট খরচ করে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে।  

 

এই টপিকটি আপনাদের সাথে শেয়ার করার অন্যতম কারণ হচ্ছে আপনি এখান থেকেই বুঝে যাচ্ছেন যে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কি হতে পারে? 

 

এবার একটু গুরুত্বপূর্ণ ভাবে জেনে নেওয়া যাক, ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কি? 

 

ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ভবিষ্যৎ: 

 

বিশাল একটি মরুভূমিতে যদি আপনি একটি সুই খুঁজে পেতে না চান, তাহলে আপনার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং।

 

কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং মানেই যে যেনতেন ভাবে মার্কেটিং তাহলে কিন্তু উপরের বাক্যটি আবার আপনার জন্যই প্রযোজ্য হবে।

 

বাংলাদেশের এখনো বেশিরভাগ ব্যবসায়ীগ উপরের কাজটি করে থাকে অর্থাৎ একটি মরুভূমিতে সুই খুঁজে বেড়ানোর কাজ।

 

তাই আপনাকে অবশ্যই কার্যকর এবং উৎপাদনশীল ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবহার করতেই হবে।

 

ডিজিটাল মার্কেটিং ভবিষ্যৎ করার জন্য নিচের একটি তথ্য আপনাকে খুব সুন্দরভাবে স্পষ্টতা তৈরি করার জন্য সাহায্য করবে।   

 

“ এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র ১৩% ডিজিটাল পেনিট্রেশন তৈরি করা গিয়েছে, আরও ৮৭% মার্কেট এখনও বিদ্যমান রয়েছে। এখন এখান থেকে আন্দাজ করে আপনি বুঝতে পারেন যে এর ভবিষ্যৎ কি হতে পারে?

 

ফিজিক্যাল এন্টারপ্রেনারশিপ এখন আর নাই, সবকিছু ডিজিটাল এন্টারপ্রেনারশিপে রূপান্তরিত হয়ে যাচ্ছে।  

 

ডিজিটাল মার্কেটিং হলো শুধুমাত্র একটি টেকনিক্যাল স্কিল, এই দক্ষতাগুলো দিয়ে কিভাবে বড় বিজনেস তৈরি করতে হয় এবং বেশি পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে হয় তার জন্য আপনাকে জানতে হবে বিজনেস স্কিল।  

 

আপনি যদি আপনার বিজনেস স্কিল তৈরি করতে চান; যেমন: 

✴️ কিভাবে যেকোন আইডিয়াকে বিজনেসে রূপান্তর করতে হয়? 

✴️ কিভাবে প্রথম এক হাজার কাস্টমার নিয়ে আসতে হয়? 

✴️ কিভাবে একটি সেরা প্রোডাক্ট তৈরি করতে হয়? 

✴️ কিভাবে প্রোডাক্টকে পজিশন করতে হয়?

✴️ কিভাবে একটি ভালো টিম তৈরি করতে হয়? 

✴️ কিভাবে Innovation নিয়ে আসতে হয়?

✴️ কিভাবে একটি স্টার্টআপ শুরু করতে হয়? 

✴️ কিভাবে মার্কেটে একচেটিয়া ব্যবসা করতে হয়? 

✴️ কিভাবে প্রফিটাবল ব্যবসা শুরু করতে হয়? ইত্যাদি

 

তাহলে আমাদের স্কিলস রাইডার প্ল্যাটফর্ম আপনার জন্য একটি বিশাল সুযোগ নিয়ে এসেছে, এটি একটি লাইফ টাইম মেম্বারশিপ অফার যেখানে আপনি সারা জীবনের জন্য আমাদের সকল ধরনের কনটেন্টের প্রবেশাধিকার পেয়ে যাবেন। 

 

আমি যুক্ত হতে চাই এখানে ক্লিক করলে আপনি অফারটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। অথবা আপনি আমাদের অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে মেসেজ করতে পারেন +8801316886988 সেখানে আমাদের টিম থেকে আপনাকে বিস্তারিত গাইডলাইন প্রদান করা হবে।  

 

আরেকটি বিশেষ সুসংবাদ এবং আপনার জন্য সুযোগ এর একটি অফার দিয়ে শেষ করছি তা হলো আমরা এখানে আপনাকে শুধু বিজনেস স্কিল তৈরি করা শেখাবো না আপনাকে শেখাবো টেকনিক্যাল স্কিল এবং সফট স্কিল। 

 

ধন্যবাদান্তে

রাশেদুল ইসলাম 

ফাউন্ডার, স্কিলস রাইডার