image

নিজেকে সবকিছুতে অযোগ্য লাগার এই চিন্তা থেকে কিভাবে বের হবো?

 

আপনি যদি আত্মউন্নয়ন সংক্রান্ত পোস্ট খুঁজে থাকেন তাহলে আপনার জন্য উপযুক্ত একটি পোস্ট হতে চলেছে এই পোস্টটি।  

 

খুব ছোট করে পয়েন্ট আকারে গুরুত্বপূর্ণ কিছু পয়েন্ট তুলে ধরলাম যেখান থেকে আপনি সহজেই উত্তরটি পেয়ে যাবেন।  

 

মাঝে মাঝে নিজেকে অযোগ্য মনে করা একটি সাধারণ এবং স্বাভাবিক অভিজ্ঞতা হতে পারে, তবে এটি আস্তে আস্তে চ্যালেঞ্জিংও হতে পারে এবং আপনার আত্মসম্মানকে প্রভাবিত করতে পারে।

 

এই অনুভূতি কাটিয়ে উঠতে, নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলো নিয়মিত অনুশীলন করার মাধ্যমে নিজেকে পরিবর্তন করতে পারবেন।  

 

👉 আত্ম-সহানুভূতি অনুশীলন করুন: নিজের প্রতি সদয় এবং বোধগম্য হন এবং স্বীকার করুন যে প্রত্যেকেরই শক্তি এবং দুর্বলতা রয়েছে। আপনাকে আপনার শক্তিশালী বিষয়গুলো জানতে হবে এবং দুর্বলতার বিষয়গুলোকেও জানতে হবে। 

 

আর পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষের মাঝে এই দুটো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে, এমনকি আমার নিজেরও রয়েছে।     

 

👉 আপনার শক্তির উপর ফোকাস করুন: আপনার দক্ষতা এবং কৃতিত্বগুলো শনাক্ত করুন এবং এগুলোর উপর ফোকাস করুন। আপনার সাফল্য উদযাপন করুন, সেগুলো যতই ছোট মনে হোক না কেন। 

 

এই পয়েন্টটি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি পয়েন্ট যা আপনাকে নিজের প্রতি অনেকটা ইতিবাচক হতে শেখাবে। আর আমি এই পোস্টে ফোকাসের কথাটি বলেছি, যা আমাদের জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে প্রতিটি পদে পদে।  

 

একটা মজার তথ্য শেয়ার করি তা হল পৃথিবীতে যাদের ফোকাস রয়েছে তারাই সফল আর যাদের নাই তারা সব সাধারন মানুষ।  

 

👉 অর্জনযোগ্য লক্ষ্যগুলো সেট করুন: আপনার সেই সমস্ত লক্ষ্যগুলোকে নির্বাচন করতে হবে যেগুলো আসলে আপনি অর্জন করতে পারবেন। কেন এই বিষয়টিকে বলা হলো কারণ আমরা অনেক সময় বড় লক্ষ্য অর্জন করতে পারি না দেখে নিজেকে অযোগ্য মনে হতে পারে এবং হয়ও।   

 

বড় লক্ষ্যগুলোকে ছোট, আরও পরিচালনাযোগ্য কাজগুলোতে ভাগ করুন এবং সেগুলোর অগ্রগতির দিকে মনোনিবেশ করুন।

 

👉 ব্যর্থতা থেকে শিখুন: ব্যর্থতাকে আপনার অক্ষমতার প্রতিফলন হিসাবে দেখার পরিবর্তে, এটিকে শেখার এবং বড় হওয়ার সুযোগ হিসাবে দেখুন।

 

আমি যদি ব্যবসা-বাণিজ্যের কথা উদাহরণ দেই তাহলে দেখবেন পৃথিবীর প্রথম প্রোডাক্ট বা পণ্য কখনো একবারই সফল হয় না।  

 

✅ আপনি ফেসবুক ব্যবহার করছেন, ফেসবুক কিন্তু একদিনে সফল হয়নি।

✅ আপনি ভিডিওর জন্য ইউটিউব দেখছেন, তারাও কিন্তু একদিনে সফল হয়নি।  

✅ স্যামসাং প্রথমে প্রেসার কুকার তৈরি করত।  

✅ নোকিয়া টয়লেট পেপার তৈরি করতো।  

✅ মাইক্রোসফট একটি গ্যারেজে শুরু হয়েছিল।  

✅ অ্যাপেল কোম্পানি থেকে স্টিভ জবসকে বের করে দেয়া হয়েছিল।  

 

তাই ব্যর্থ যখন হবেন তখন এটাকে অযোগ্যতা মনে না করে এখান থেকে শিক্ষাগ্রহণ করে দ্রুত সম্ভব নতুন কিছু করা উচিত। 

 

👉 সহায়ক ব্যক্তিদের দ্বারা নিজেকে ঘিরে রাখুন: নিজেকে এমন ব্যক্তিদের দ্বারা ঘিরে রাখুন যারা আপনাকে বিশ্বাস করে এবং আপনাকে আপনার লক্ষ্যগুলো অনুসরণ করতে উৎসাহিত করে।

 

আমি প্রায়শঃ একটা কথা বলে থাকি, 

 

আপনার লক্ষ্যের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের সাথে চলাফেরা করুন এবং যারা জড়িত নয় সেই সমস্ত ব্যক্তি বা বস্তুকে পরিহার করুন।  

 

👉 পরামর্শকের সাহায্য নিন: আপনি যদি দেখেন যে আপনার অযোগ্যতার অনুভূতি স্থায়ী এবং আপনার দৈনন্দিন জীবনকে প্রভাবিত করছে, তাহলে একজন থেরাপিস্ট বা কাউন্সেলরের সাহায্য নেওয়ার কথা বিবেচনা করুন।

 

পরামর্শক আপনার প্রিয় মানুষ হতে পারে অথবা  ভালো ডিগ্রী সম্পন্ন ডাক্তার হতে পারে। যখন ডাক্তারকে দেখানোর কথা বিবেচনা করবেন তখন তাকেই দেখাবেন যিনি আসলে এই বিষয়ে অভিজ্ঞ এবং যার সফলতার সংখ্যা রয়েছে।   

 

মনে রাখবেন, পরিবর্তনের জন্য সময় এবং প্রচেষ্টা লাগে, তাই নিজের সাথে ধৈর্য ধরুন এবং এই পদক্ষেপগুলো অনুশীলন করতে থাকুন।

 

আমাদের এই পোস্টটি ভালো লাগলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করে জানাবেন। নতুন কোন বিষয় যদি জানার আগ্রহ থেকে থাকে তাহলে আমাদের এই পোষ্টের নিচে কমেন্ট বক্স রয়েছে সেখানে কমেন্ট করুন ।  

 

আমাদের এই স্কিলস রাইডার প্লাটফর্মে বিজনেস, আত্মউন্নয়ন, বিনিয়োগ সংক্রান্ত পোস্ট নিয়মিত পাবলিশ করা হবে। আপনি যদি ধারাবাহিকভাবে আমাদের প্ল্যাটফর্ম থেকে পোস্ট সবার আগে পেতে চান তাহলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে যোগাযোগ করে রাখুন +8801316886988  

 

সেখান থেকে নিত্যনতুন পোস্টগুলোর আপডেট আপনার হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।  

 

ধন্যবাদ

রাশেদুল ইসলাম, ফাউন্ডার, স্কিলস রাইডার