image

পড়াশোনার পাশাপাশি কোন ছোট ব্যবসা করা যায়?

 

স্টুডেন্ট এবং মুক্ত পেশাজীবীর মানুষদের জন্য আজকের পোস্টটি সেরা একটি পোস্ট হতে চলেছে। পড়াশোনার পাশাপাশি ছোট একটা ব্যবসা করার চিন্তাটা খুবই আধুনিক এবং সমসাময়িক একটি চিন্তা। আপনি যদি পড়াশোনার পাশাপাশি একটি ব্যবসা শুরু করতে চান, তাহলে আমি আপনাকে অগ্রিম শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।   

 

আপনি আপনার একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি অবশ্যই যেকোনো কিছু করতে পারেন। কিন্তু আমার ব্যক্তিগত উপদেশ হচ্ছে আপনি আপনার পড়াশোনাতে আগে পুরোপুরি মনোনিবেশ করুন, তারপর যদি সময় থেকে থাকে অর্থাৎ অবসর সময়ে নিচের দেয়া ব্যবসাগুলো করা যেতে পারে।

 

আমি এখানে সেই সমস্ত ব্যবসাগুলোর কথা উল্লেখ করব, যেগুলো একা একাই করা যায় ইনফরমেশন টেকনোলজির সাহায্য নিয়ে; 

 

১. সোশ্যাল মিডিয়া 

 

সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারেন। যেমন আপনি এখানে কনসাল্টিং করতে পারেন অথবা ফ্রিল্যান্সিং হিসাবে কয়েকটি সোশ্যাল মিডিয়ার বিজনেস পেজ আপনি পরিচালনা করতে পারেন। 

 

দক্ষতার সাথে করতে পারলে প্রতি মাসে ২৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন।  

 

২. নিজস্ব ওয়েবসাইট পরিচালনা 

 

নিজস্ব ওয়েবসাইট পরিচালনা করার মাধ্যমে, অর্থাৎ একটি ওয়েবসাইট থেকে কমপক্ষে ১২ থেকে ১৩টি উপায় অর্থ উপার্জন করা যায় এবং এটিকে একটি ছোট ব্যবসা হিসাবে ও আস্তে আস্তে করে পরিচালনা করা যেতে পারে পড়াশোনা করার পাশাপাশি। 

 

দক্ষতার সাথে করতে পারলে প্রতি মাসে ৫০ থেকে ৮০ হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন।  

 

৩. রিসেলার 

 

রিসেলার হিসাবে আপনি ছোট ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন, বিভিন্ন ফিজিক্যাল পণ্য এবং ডিজিটাল পণ্যের রিসেল শুরু করে দিতে পারেন।

 

ভালো সেলস এবং মার্কেটিং জানতে পারলে মাসে এক থেকে দুই লক্ষ টাকার উপর উপার্জন করতে পারবেন।  

 

৪. কনটেন্ট তৈরি

 

আপনি যদি ক্রিয়েটিভ কোন কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন যেমন গ্রাফিক্স, টেক্সট, অডিও এবং ভিডিও, তাহলে সেগুলো বিভিন্ন ধরনের মার্কেটে তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন। সেবা হিসেবে এবং নিজের প্রোডাকশন হিসেবে নিজের প্লাটফর্মে বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।  

 

দক্ষতার সাথে করতে পারলে প্রতি মাসে ৫০ থেকে ৮০ হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

 

৫. পরামর্শক 

 

কোন নির্দিষ্ট বিষয়বস্তুর উপরে অভিজ্ঞতা অর্জন করে সেখান থেকে পরামর্শক হিসেবে অর্থ উপার্জন করতে পারেন এবং এটাকেও একটি ছোট ব্যবসা হিসাবে শুরু করে দিতে পারেন।

 

দক্ষতার সাথে করতে পারলে প্রতি মাসে ৫০ থেকে ৮০ হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

 

৬. ফ্রিল্যান্সিং 

 

ফ্রিল্যান্সিং বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি পার্ট টাইম প্রফেশন, আপনি চাইলে যেকোন দক্ষতার উপরে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করে দিতে পারেন।

 

দক্ষতার সাথে করতে পারলে প্রতি মাসে ২০ থেকে ৮০ হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

 

ইচ্ছাশক্তি এবং প্রচেষ্টা থাকলে ছয় মাসের মধ্যে ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারবেন বলে আমি আশা করছি এবং আমাদের বাংলাদেশের অনেক স্টুডেন্ট এখন অনেক সফলতার সাথে ফ্রিল্যান্সিং  ব্যবসা করছেন।

 

৭. ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফি 

 

ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফি এইদুটো পড়াশোনা করার পাশাপাশি করা যেতে পারে । পশ্চিমাবিশ্বে এইধরনের প্রফেশনের অনেক চাহিদা আছে এবং বাংলাদেশেও দিন দিন এর চাহিদার পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে, অনেকেই বিবাহ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ছোট ছোট ইভেন্টের ফটোগ্রাফি দিয়ে ছোট ব্যবসা শুরু করছে।

 

৮. ডেলিভারি সাপোর্টার 

 

ডেলিভারি সাপোর্টার পড়াশোনার পাশাপাশি আপনি প্রোডাক্ট ডেলিভারি সাপোর্টার হিসেবে কাজ করতে পারেন। বর্তমান ফুডপান্ডাতে এধরণের কাজের অনেক সুযোগ রয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য।

 

৯. প্রুফরিডিং ব্যবসা

 

প্রুফরিডিং ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে যদি আপনার এই বিষয়ে অভিজ্ঞ থেকে থাকে খুব অল্প সময়ে এবং নামমাত্র কিছু টাকা বিনিয়োগ করার মাধ্যমে এই ব্যবসা আপনি শুরু করে দিতে পারবেন ছাত্র অবস্থা থেকে।

 

দক্ষতার সাথে করতে পারলে প্রতি মাসে ২০ থেকে ৮০ হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

 

১০. টিউটরিং 

 

টিউটরিং পরিষেবা কেও ছোট ব্যবসা হিসেবে তৈরি করা যায় অর্থাৎ আপনি এমন একটি সিস্টেম তৈরি করবেন, যেখানে টিচার থাকবে এবং স্টুডেন্ট থাকবে আপনি দুটো সম্প্রদায় কে পরিচালনা করার মাধ্যমে একটি ছোট ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন।

 

এটি একটি প্ল্যাটফর্ম ভিত্তিক ব্যবসা। এই ব্যবসার উপর পুরোপুরি একটি কেস ষ্টাডি এবং গাইডলাইন আমি তৈরি করেছি যা খুব তাড়াতাড়ি স্কিলস রাইডার প্লাটফর্মে পাবলিশ করবো। আমার সবথেকে পছন্দের বিজনেস মডেলগুলোর মধ্যে এইধরনের বিজনেস রয়েছে।

 

১১. ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি 

 

ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সিও একটি ছোট ব্যবসা যা আজই শুরু করে দিতে পারেি। বর্তমানে খুবই চাহিদাসম্পন্ন একটি ব্যবসা হচ্ছে এই ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি। 

 

এই ব্যবসায় একটু সময় দিতে হবে কিন্তু এখানে উপার্জনের রাস্তা অনেক বেশি।  

 

১২. সিভি ডিজাইনার

 

সিভি ডিজাইনারের ব্যবসা। জি হ্যাঁ, আপনি ঠিকই দেখতে পাচ্ছেন যে বর্তমানে ভালো সিভি তৈরি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে একজন চাকরিপ্রার্থী যখন কোন কোম্পানিতে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে যায় তখন সে কিন্তু কোম্পানিতে আগে পৌছায় না, পৌঁছায় তার সিভি। সিভিকে অনেকেই প্রফেশনালভাবে ডিজাইন করতে পারেন না। 

 

যার কারণে বেশকিছু জায়গা থেকে তার জব অফার আসেও না, তাই আপনি এই বিষয়ের উপরে কিছুটা অভিজ্ঞ হয়ে একটি ছোট ব্যবসা দাঁড় করাতে পারেন যা খুবই অল্প টাকা খরচ করে তৈরি করা যেতে পারে।

 

১৩. রিভিউ সার্ভিস

 

রিভিউ সার্ভিস এটাও একটি চমৎকার ব্যবসা ছাত্র অবস্থায় শুরু করা যায় অর্থাৎ আপনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জন্য পজেটিভ রিভিউ দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিবেন। সামান্য কিছু ট্রেনিং করে এই ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন। অনেকগুলো মজাদার এবং আরামদায়ক ব্যবসার মধ্যে ছাত্র অবস্থায় শুরু করার মত এই ব্যবসাটা অন্যতম।

 

আরো অসংখ্য ব্যবসার নাম আছে যা ছাত্র অবস্থায় শুরু করে দেওয়া যেতে পারে বলে আমি মনে করি কিন্তু একটি বিষয় যেটা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সেটা হচ্ছে,

 

ব্যবসা শুরু করার আগে আপনাকে আগে মাইন্ডসেট তৈরি করতে হবে কারণ শুরুতেই আপনি ভালো ফলাফল নিয়ে আসতে নাও পারেন, যার কারণে আপনার ভিতরে নেগেটিভিটি কাজ করা শুরু করতে পারে।

 

তাই আমার ব্যক্তিগত মন্তব্য হচ্ছে আপনি আগে মাইন্ডসেট তৈরি করা শুরু করুন, মাইন্ডসেটকে পজেটিভ রাখার চেষ্টা করবেন এবং আস্তে আস্তে দেখবেন আপনি যেকোন ব্যবসায় সফল হতে পারবেন।

 

মাইন্ডসেট তৈরি করার ফলে আপনি শুধু ব্যবসায় সফল হবেন না আপনি আপনার ছাত্রজীবনে একাডেমিক জায়গাগুলোতেও অনেক ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারবেন।

  

বিজনেস, বিনিয়োগ এবং ক্যারিয়ারকে উন্নতি করার জন্য আমরা একটি বিশেষ সুযোগ নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি। তবে এই সুযোগটি অল্প কিছু সময়ের জন্য থাকছে, আমি সুযোগটি পেতে চাই  এই লিংকে ক্লিক করলে আপনি বিস্তারিত জানতে পারবেন।


অথবা আপনি আমাদের অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে মেসেজ করতে পারেন +8801316886988 সেখানে আমাদের টিম থেকে আপনাকে বিস্তারিত গাইডলাইন প্রদান করা হবে।

 

ধন্যবাদ 🙏

রাশেদুল ইসলাম, লীডারশীপ ট্রেইনার এবং বিজনেস কনসালটেন্ট