image

শূন্য টাকায় শুরু করা যায় এমন ব্যবসা যা মাসে লাখ টাকা নিয়ে আসে? 

 

শূন্য বিনিয়োগসহ একটি ব্যবসা শুরু করা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে, তবে এটি অসম্ভব নয়, বিশেষ করে ডিজিটাল যুগে। এখানে ২০টি ব্যবসায়িক ধারণা রয়েছে যা সম্ভাব্যভাবে ন্যূনতম কোন আগাম খরচ ছাড়াই শুরু করা যেতে পারে এবং আপনার দক্ষতা, উৎসর্গ এবং বাজারের অবস্থার উপর নির্ভর করে উল্লেখযোগ্য আয় উপার্জনের সম্ভাবনা রয়েছে।  

 

পোস্টটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনফরমেটিভ পোস্ট হতে চলেছে, তাই শুরু থেকে পড়ুন এবং প্রত্যেকটি বিষয়কে ভালোভাবে নোটিশ করুন, আপনি এখান থেকে সবচেয়ে ভালো একটি ব্যবসা আপনার জন্য নির্বাচন করতে পারবেন।  

 

 (১) ব্লগিং:

 

একটি বিশেষ বিষয়ের উপর ব্লগ শুরু করতে পারেন, যা আপনি জানেন এবং সেই বিষয় নিয়ে আপনি কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। 

 

আপনি আপনি রান্না, খেলাধুলা, ফ্যাশন, বিউটি, মার্কেটিং, নেটওয়ার্কিং, পাবলিক স্পিকিং ইত্যাদি যেকোন বিষয় সম্পর্কে একটি ব্লগ শুরু করে দিতে পারেন।   

 

এজন্য বিনামূল্যের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করুন। যেমন: WordPress, Blog ইত্যাদি।

 

(২) ফ্রিল্যান্স রাইটিং:

 

ব্লগ, ওয়েবসাইট এবং অনলাইন প্রকাশনায় আপনার লেখার পরিসেবা অফার করুন। প্রতিমাসে শুধুমাত্র ৫ থেকে ১০টি প্রফেশনাল মানের ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করতে পারলেই ভালো উপার্জন হবেই।   

 

(৩) গ্রাফিক্স ডিজাইনিং:

 

আপনার যদি ডিজাইনের দক্ষতা থাকে তবে সেগুলো ছোট এবং মাঝারি ব্যবসায়ীদের কাছে অফার করুন। একটি ছোট এবং মাঝারি ব্যবসার সোশ্যাল মিডিয়া এবং কনটেন্ট মার্কেটিং এর জন্য অসংখ্য ধরনের ডিজাইনের প্রয়োজন হয়ে থাকে। প্রতিমাসে শুধুমাত্র ৫ থেকে ১০টি প্রফেশনাল মানের ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করতে পারলেই ভালো উপার্জন হবে। 

 

(৪) সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট:

 

ছোট ব্যবসা বা প্রভাবশালীদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করুন, এটি সবচেয়ে সহজ ব্যবসাগুলোর মধ্যে একটি, যা শুরু করতে কোন টাকাই লাগেনা।  

 

(৫) অনলাইন টিউটরিং: 

 

আপনি অনলাইনে আপনার জানা বিষয়গুলোকে যদি শিখাতে পছন্দ করেন তাহলে আপনি বিনামূল্যে এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। গুগল মিট ব্যবহার করে এবং অনলাইনে আরো কিছু ফ্রি সফটওয়্যার ব্যবহার করে আপনি এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।   

 

(৬) ভার্চুয়াল সহকারী পরিষেবা: 

 

ধরুন, আপনি মানব সম্পর্কে ব্যবস্থাপনা ভালো বোঝেন এবং ডাটা এন্ট্রি খুব ভালো করতে পারেন, এই দক্ষতগুলোকে কাজে লাগিয়ে কিন্তু আপনি ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে আপনার একটি ছোট ব্যবসা শুরু করে দিতে পারে যা করতে মূলত শূন্য টাকা লাগে।  

 

(৭) অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং: 

 

এটি একটি লাখ টাকা উপার্জন করার ব্যবসা যা বিনামূল্যে শুরু করা যায়, এখানে আপনার সবচেয়ে বেশি যে দক্ষতাটি লাগবে তাহলো কনটেন্ট ভালোভাবে তৈরি করা এবং সেটাকে মার্কেটিং করা।  

 

(৮) ইউটিউব চ্যানেল:

 

ইউটিউবে কন্টেন্ট তৈরি করুন এবং এটা সম্পূর্ণ ফ্রি, এখানে আপনি ইচ্ছা করলে আপনার চেহারা দেখানো ছাড়াই ভিডিও তৈরি করে উপার্জন করতে পারেন।  

 

(৯) পডকাস্টিং:

 

বর্তমানে একটি জনপ্রিয় ব্যবসার মডেল হচ্ছে অডিও রেকর্ড করে পডকাস্টিং করা। বড় বড় ব্র্যান্ডগুলোর কাছ থেকে স্পন্সরের মাধ্যমে অনেক টাকা এখানে ইনকাম করতে পারবেন।    

 

(১০) ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট: 

 

যদি আপনার দক্ষতা থাকে তবে ওয়েব ডিজাইন পরিসেবাগুলো অফার করুন। প্রতিমাসে শুধুমাত্র ৫ থেকে ১০টি প্রফেশনাল মানের ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করতে পারলেই ভালো উপার্জন হবে।

 

(১১) SEO পরামর্শদাতা:

 

ওয়েবসাইট র‌্যাঙ্কিং উন্নত করতে SEO পরিসেবা প্রদান করুন। প্রতিমাসে শুধুমাত্র ৫ থেকে ১০টি প্রফেশনাল মানের ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করতে পারলেই ভালো উপার্জন হবেই। 

 

(১২) ফটোগ্রাফি:

 

অনলাইনে ফটো বিক্রি করতে বা ক্লায়েন্টদের পরিসেবা দেওয়ার জন্য আপনার ফটোগ্রাফি দক্ষতা ব্যবহার করুন। প্রতিমাসে ৫ থেকে ১০টি প্রফেশনাল মানের ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করলেই ভালো উপার্জন হবে।

 

(১৩) ফিটনেস কোচিং: 

 

আপনার দক্ষতা থাকলে অনলাইন ফিটনেস কোচিং অফার করুন। এই ব্যবসাটি শুরু করতেও তেমন কোনো অর্থের প্রয়োজন হয় না। 

 

(১৪) ইভেন্ট পরিকল্পনা:

 

ক্লায়েন্টদের জন্য ইভেন্ট এবং বিবাহের পরিকল্পনা করুন। প্রতিমাসে মাত্র ৫ থেকে ১০টি প্রফেশনাল মানের ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করলেই ভালো উপার্জন হবে।

 

(১৫) ব্যক্তিগত কেনাকাটা:

 

আপনি যদি ব্যক্তিগত কেনাকাটা করতে অনেকটা সৌখিন হয়ে থাকেন এবং এটা যদি আপনি অন্য কারো সাথে শেয়ার করতে পারেন তাহলে এই ব্যবসাটাও আপনি শূন্য টাকা থেকে শুরু করতে পারবেন।  

 

(১৬) হস্তনির্মিত কারুশিল্প বিক্রেতা:

 

হাতের তৈরি জিনিস শুধুমাত্র ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে বিক্রি করে অনেক টাকা ইনকাম করা যায়, যা আসলে আপনার দক্ষতার উপর ভিত্তি করে আপনি শূন্য টাকায় শুরু করতে পারবেন।  

 

(১৭) অনুবাদ পরিষেবা:

 

এটি একটি টেকনিক্যাল দক্ষতা, অনুবাদ পরিসেবা প্রদান করুন যদি আপনি একাধিক ভাষায় পারদর্শী হন। আপনি যদি বিদেশী ভাষার ইউটিউব চ্যানেলগুলোকে, বাংলা ভাষায় ডাবিং করে এবং তাদের সাথে পরামর্শ করে, যদি বাংলাদেশে পাবলিশ করতে পারেন তাহলে আপনার একটা ভালো ইনকামের রাস্তা তৈরি হবে। 

 

এক্ষেত্রে আপনি অর্থ উপার্জন করছেন এবং বিদেশী ভাষার ইউটিউব চ্যানেলের মালিক উনিও কিন্তু অর্থ উপার্জন করছেন।     

 

(১৮) মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট:

 

আপনার দক্ষতা থাকলে মোবাইল অ্যাপস ডেভেলপ করুন, যা পুরো একটি টেকনিক্যাল দক্ষতার উপর নির্ভর করে।  

 

(১৯) ই-বুক লেখক:

 

আপনি যদি লেখালেখি ভালো করতে পারেন এবং আপনার যদি লেখালেখিতে অনেক দক্ষতা থাকে তাহলে এই ব্যবসাটি একটি দারুণ ব্যবসা, যা শুরু করতে একদম শূন্য বিনিয়োগ প্রয়োজন।  

 

(২০) অনলাইন কোর্স ক্রিয়েটর:

 

এই ব্যবসাটির শুরুতে তেমন টাকা লাগে না কিন্তু ব্যবসাটি বড় হওয়ার সাথে সাথে একটু টাকার প্রয়োজন হয়। তবে এখানে অনেক সম্ভাবনা এবং ইনকামের রাস্তা রয়েছে। 

 

মনে রাখবেন, উপরের ব্যবসাগুলো যেহেতু শুরু করতে অনেক অল্প বিনিয়োগ অর্থাৎ একদম শূন্য টাকা বিনিয়োগ প্রয়োজন তবে অন্যদিকে আপনাকে এই ব্যবসাগুলোকে শুরু করতে কিন্তু প্রচুর, ধৈর্য, সময় এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে।  

 

আরেকটি বিশেষ কথা, সেটি হচ্ছে এই ব্যবসাগুলোর বেশিরভাগ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ভিত্তিক নির্ভরশীল তাই এই বিষয়ে আপনাকে দক্ষতা অর্জন করতেই হবে। 

 

একটি ব্যবসাকে শুরু করা থেকে বড় করা পর্যন্ত যত ধরনের দক্ষতার প্রয়োজন হয় তার উপর ভিত্তি করে আমরা স্কিলস রাইডার একটি বিশেষ অফার নিয়ে এসেছি সেটি সম্পর্কে জানতে যুক্ত হতে চাই এই টেক্সটে ক্লিক করলেই আপনি বিস্তারিত তথ্য পেয়ে যাবেন।  


এছাড়া আপনি আমাদের অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার +8801316886988 এখানে মেসেজ করলে আমাদের টিম থেকে আপনাকে বিস্তারিত গাইডলাইন দিয়ে সাহায্য করবে।

 

ধন্যবাদান্তে

রাশেদুল ইসলাম, ফাউন্ডার, স্কিলস রাইডার