সেরা ৭টি ডিজিটাল মার্কেটিং লক্ষ্য
আপনি যদি আপনার ব্যবসার সফলতার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিংকে কাজে লাগাতে চান তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য একটি সবথেকে কার্যকর একটি পোস্ট হতে চলেছে।
ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে আমি একটি কথা প্রায় বলে থাকি তা হল “বিশাল একটি মরুভূমিতে আপনি যদি সুই খুঁজে বেরতে না চান, তাহলে আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং প্রয়োগ করতে হবে”
ডিজিটাল মার্কেটিং এর লক্ষ্যগুলো হলো এমন কিছু ম্যাট্রিক্স যা আপনি ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে অর্জন করতে চান।
কিছু সাধারণ ডিজিটাল মার্কেটিং লক্ষ্য হল ওয়েবসাইটে ট্রাফিক নিয়ে আসা, ব্র্যান্ডের সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং ব্যবসায় বেশি করে লিডস এবং সেল নিয়ে আসা।
আপনার মার্কেটিং প্রচেষ্টাকে সফল করার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং লক্ষের অবদান অনেক বেশি, তাই চলুন শুরু করে দেই আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ পোস্টটি, যার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন যে ডিজিটাল মার্কেটিং এর লক্ষ্য কত ধরনের হয়ে থাকে?
ব্যবসার সফলতার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের লক্ষ্য সমূহ:
১. ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বৃদ্ধি করা:
অনেক অনলাইন বিজনেসের 0১ নাম্বার লক্ষ্য হয়ে থাকে তার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক নিয়ে আসা। তার কারণ একদম সাধারন তা হলো, যত বেশি আপনি ওয়েবসাইটে ট্রাফিক নিয়ে আসতে পারবেন আপনার কনভার্শন অথবা সেলস তত বেশি বৃদ্ধি পাবে এবং এর মাধ্যমে আপনি আপনার ফাইনান্সিয়াল লক্ষ্য অর্জন করতে পারবেন।
আপনাকে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে, অনলাইন বিজনেসের মধ্যে আপনার ওয়েবসাইট হলো আপনার দোকান। এই দোকানে যদি আপনি বেশি করে ট্রাফিক নিয়ে আসতে না পারেন মানে কাস্টমারে নিয়ে আসতে না পারেন তাহলে আপনি কিন্তু আপনার পণ্য সেল করতে পারবেন না অথবা আপনি আপনার ব্র্যান্ড তৈরি করতে পারবেন না।
এখন আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে আপনার কতটুকু ওয়েবসাইটের ট্রাফিক দরকার? আপনার বর্তমান ওয়েবসাইটে যদি শূন্য ট্রাফিক থাকে তাহলে আগামী দুই মাসের ভিতরে ১০% ট্রাফিক বৃদ্ধি করা, এটা হবে আপনার ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের অন্যতম লক্ষ্য।
২. অর্গানিক রেংকিং উন্নত করা:
অনেক ব্যবসা সার্চ ইঞ্জিন র্যাংকিংয়ের উপর বিদ্যমান। অর্থাৎ তাদের ব্যবসা যদি সার্চ ইঞ্জিনের টপ পজিশনে থাকে তাহলে তাদের ব্যবসা অনেক ভালো চলবে।
আপনাকে একটি কথা মনে রাখতে হবে তা হল একমাত্র সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে যে ট্রাফিকগুলো ব্যবসায় আসে সেগুলো কিন্তু অন্যান্য ট্রাফিকের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী এবং এই ট্রাফিকগুলো থেকে অনেক বেশি সেলস তৈরি হয়।
আগামী ২-৩ মাসের ভিতরে আপনি আপনার ব্যবসার জন্য কোন কোন কিওয়ার্ডকে গুগলের রেংক করাতে চান তা নির্ধারণ করা হলো একটি ডিজিটাল মার্কেটিং লক্ষ্য।
৩. ব্র্যান্ড অ্যাওয়ারনেস তৈরি করা:
যত মানুষ আপনার ব্র্যান্ড সম্পর্কে জানতে পারবে আপনি তত বেশি সুবিধা পাবেন সার্চ এবং পিপিসি ক্যাম্পেইন থেকে।
একটি জরিপ থেকে দেখা গিয়েছে যে একটি কাস্টমারকে কনভার্ট করতে হলে, তাকে কমপক্ষে ৭ বার ব্র্যান্ড সম্পর্কে সচেতন করতে হয়।
ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ডনেসের লক্ষ্যকে পরিমাপ করা একটু কঠিন হতে পারে। তবে ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বৃদ্ধি করা, অর্গানিক রেংকিং বৃদ্ধি করা এবং সেলস কনভারশন এর মাধ্যমে কিছুটা পরিমাপ করা যেতে পারে।
৪. বেশি করে সেলস এবং লিডস তৈরি করা:
সকল কোম্পানির সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ডিজিটাল মার্কেটিং লক্ষ্য হয়ে থাকে তার ব্যবসায় সেলস এবং লিড বেশি বেশি করে তৈরি করা।
আপনি খুব সহজেই গুগল এনালাইটিকস থেকে আপনার ব্যবসার সেলস এবং লিড জেনারেশনকে পরিমাপ করতে পারবেন এবং একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যকে সেট করে এটিকে নিয়মিতভাবে উন্নতি করতে পারবেন।
৫. ব্র্যান্ড অথরিটি বৃদ্ধি করা:
ব্র্যান্ড অ্যাওয়ারনেস এবং ব্র্যান্ড অথরিটি বৃদ্ধি করার মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। অনেক ব্যবসার ব্র্যান্ড অথরিটি বৃদ্ধি করা গুরুত্বপূর্ণ একটি ডিজিটাল মার্কেটিং লক্ষ্য হয়ে থাকে।
ব্র্যান্ড অথরিটি তৈরি করা মানে আপনার ইন্ডাস্ট্রিতে আপনার ব্র্যান্ড সম্পর্কে একটি বিশেষ পজিশন তৈরি করা। একটি উদাহরণ দিয়ে দিচ্ছি বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে।
ধরুন আপনি ভালো ইংলিশ শেখাতে পারেন, আপনি এমন কিছু টেকনিক এর মাধ্যমে ইংলিশ শেখাচ্ছেন যার কারণে আপনার একটি বিশেষ অথরিটি তৈরি হয়ে যাচ্ছে আপনার ইন্ডাস্ট্রিতে।
ব্র্যান্ড অথরিটি তৈরি করতে হলে আপনাকে এমন কিছু হাই কোয়ালিটি কনটেন্ট ইনফরমেশনের মাধ্যমে শেয়ার করতে হবে যা মানুষকে অনেক কিছু শেখাতে এবং জানতে সহায়তা করে।
৬. কাস্টমার এংগেজমেন্ট ইমপ্রুভ করা:
কাস্টমার আপনার ব্যবসায় যত বেশি এনগেজ থাকবে তত বেশি আপনার লিডস এবং কনভারশন বৃদ্ধি পেতেই থাকবে। ব্যবসায় কাস্টমার এনগেজমেন্ট অন্যতম একটি ডিজিটাল মার্কেটিং লক্ষ্য হয়ে থাকে যা বেশিরভাগ ব্যবসা ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে হাসিল করতে চায়।
এখানে আপনাকে দুটো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাট্রিক্স সব থেকে বেশি মেজার করতে হবে একটি হচ্ছে এনগেজমেন্ট রেট এবং আরেকটি হচ্ছে বাউন্স রেট।
৭. কাস্টমার লাইফ টাইম ভ্যালু বৃদ্ধি করা:
একটি কাস্টমার একটি ব্যবসায় কতবার লেনদেন করবে সেটাকে বলা হয় কাস্টমার লাইফ টাইম ভ্যালু অর্থা, আপনার ব্যবসায় কতদিন একটি কাস্টমার আসতেই থাকবে।
আপনি যদি সঠিক এবং কার্যকর ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যাম্পেইন তৈরি করতে পারেন তাহলে আপনি আপনার ব্যবসায় লাইফ টাইম কাস্টমার ভ্যালু বৃদ্ধি করতে পারবেন।
সর্বশেষ আপনাকে আপনার ব্যবসার লক্ষ্য অনুযায়ী ডিজিটাল মার্কেটিং লক্ষ্য তৈরি করতে হবে। তাই ডিজিটাল মার্কেটিং লক্ষ্য তৈরি করার আগে আপনাকে আপনার ব্যবসার লক্ষ্য সেট করতে হবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং লক্ষ্যতো আপনি বুঝতে পারলেন এবার আপনাকে এই লক্ষ্যগুলোকে বাস্তবায়ন করতে হলে বেশ কিছু অ্যাকশন গ্রহণ করতে হবে।
কোন কোন অ্যাকশন গ্রহণ করার মাধ্যমে আপনি আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং এর লক্ষ্যকে বাস্তবায়ন করতে পারবেন তার জন্য আমরা আরেকটি গাইডলাইন খুব তাড়াতাড়ি নিয়ে আসছি।
আপনার জন্য একটি বিশেষ সুসংবাদ তা হল; আমরা স্কিলস রাইডার একটি লাইফ টাইম মেম্বারশিপ অফার নিয়ে এসেছি যেখানে আপনি সকল প্রকার বিজনেস স্কিল লাইফ টাইমের জন্য শিখতে পারবেন।
আমি যুক্ত হতে চাই এখানে ক্লিক করলে আপনি একটি ভিডিও দেখতে পারবেন, সেই ভিডিওতে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া রয়েছে।
বিজনেস, বিনিয়োগ, ক্যারিয়ার এবং আত্মউন্নয়নের জন্য বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনি আমাদেরকে হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে +8801316886988 মেসেজ করতে পারেন সেখানে আরো বিস্তারিত গাইডলাইন আপনি পেয়ে যাবেন।
ধন্যবাদ
রাশেদুল ইসলাম, ফাউন্ডার, স্কিলস রাইডার