অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা গুলোর মধ্যে গুছিয়ে কথা বলার দক্ষতা অন্যতম একটি দক্ষতা।
পাবলিক স্পিকিং অর্থাৎ পৃথিবীতে ৮০% মানুষের সাপ কামড়ানোর ভয় এর চাইতেও পাবলিক স্পিকিংকে মানুষ বেশি ভয় পায়।
পাবলিক স্পিকিং মানে যে বড় বড় স্টেজের সামনে বা মিডিয়ার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলতে হবে তা কিন্তু না, আপনি আপনার ১০জন বন্ধুর সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছেন এটাও কিন্তু পাবলিক স্পিকিং এর অংশ।
যেমন:
👉 আপনি আপনার পরিবারের লোকজনের সামনে দাঁড়িয়ে কিভাবে গুরুত্বপূর্ণ কথা বলবেন গুছিয়ে গুছিয়ে সেটাও কিন্তু পাবলিক স্পিকিং এর একটি অংশ।
👉 একজন বিক্রেতা কিভাবে তার কাস্টমারের সামনে গুছিয়ে কথা বলবে এটাও কিন্তু পাবলিক স্পিকিং এর একটা অংশ।
গুছিয়ে কথা বলার টেকনিক
তাই গুছিয়ে কথা বলার জন্য ছোট একটি টেকনিক আমি আপনাদের সামনে শেয়ার করছি যেটি আমি নিজেও ব্যবহার করে থাকি।
কারন আমাকেও পাবলিক স্পিকিং এর বিষয়টা নিয়ে অনেক ডিল করতে হয় এবং পাবলিক স্পিকিং নিয়েই বেশিরভাগ কাজ আমাকে করতে হয়।
প্রথম ধাপ:
সবার প্রথমে আপনাকে বিবেচনা করতে হবে আপনি কার সামনে কথা বলছেন অর্থাৎ তারা আসলে কে?
দ্বিতীয় ধাপঃ
(প্রয়োজন, আগ্রহ, উদ্বেগ, প্রত্যাশা) সুন্দরভাবে গুছিয়ে কথা বলার জন্য এই চারটি বিষয়ের যেকোনো দুটি বিষয়কে প্রাধান্য দিন অর্থাৎ যাদের সামনে আপনি কথা বলবেন।
আমি একটি কথা খুবই বিশ্বাস করি সেটি হচ্ছে যখন আমি কারো সাথে কথা বলি তখন কিন্তু আমি আমার আগ্রহের বিষয়গুলো তাদের সাথে কম শেয়ার করি আগে তাদের প্রয়োজনীয়তা, তাদের আগ্রহ, তাদের উদ্বেগের বিষয় গুলোকে অনুসরণ করি।
এতে আপনার শ্রোতারা খুব সহজেই আপনার সাথে একটি ভালো কানেকশন অনুভব করবে, যার ফলে আপনি এখন যে ধরনের বিষয়বস্তু এর উপর বক্তৃতা প্রদান করুন না কেন শ্রোতারা আপনার কথা অবশ্যই শুনবে এবং আপনার উদ্দেশ্যটিও হাসিল হবে।
- তাদের মধ্যে কি এমন প্রয়োজনীয়তা আছে?
- কি এমন আগ্রহ আছে?
- তাদের উদ্বেগের বিষয় কি এবং
- তারা কি প্রত্যাশা করছে?
এই চারটি জিনিস বুঝতে পারলে আপনি অনেক কিছু বুঝে যেতে পারবেন, আসলে আপনি যাদের সামনে কথা বলতে চাচ্ছেন তারা আসলে কি চাচ্ছে আপনার কাছ থেকে, আপনি তাদেরকে কি বুঝাতে চাচ্ছেন।
অর্থাৎ এই ধাপে আপনি যাদের সামনে গুছিয়ে কথা বলবেন তাদের এই বিষয়গুলোকে আগে মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে।
তৃতীয় ধাপঃ
অবশ্যই আপনি সে বিষয়গুলোই বলবেন যা আসলে আপনি নিজে থেকেই কিছুটা জানেন, বলতে গেলে অনেকটাই জানেন। কারণ আলতু ফালতু কথা বলে তো সময় নষ্ট করে লাভ নেই আর আপনি সে জায়গায় গিয়ে আপনার সময়কে নষ্ট করবেন না, যে পরিবেশের অনেককিছুই আপনি বোঝেন ঠিক কিন্তু কম জানেন।
বিশ্বাস করুন আমি এই তিনটি ধাপ অনুসরণ করে মোটামুটি বেশিরভাগ জায়গায় সফল হয়েছি এবং এখনো হচ্ছি। এই তিনটি ধাপের টেমপ্লেট আপনি ব্যবহার করুন।
উপরের তিনটি ধাপ আসলে এমন বৈজ্ঞানিক ভাবে তৈরি করা যার মাধ্যমে আপনি সংশ্লিষ্ট বিষয়ের উপরে কথা বলতে পারবেন, আপনার নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারবেন এবং আপনার যারা শ্রোতা হবে তারাও কিন্তু আপনার সাথে সংযুক্ত হয়ে যাবে।
পোষ্টের নিচে মন্তব্যর সেকশনে আপনার গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যের আমি অবশ্যই আশা করি পোস্টগুলোর বিষয়বস্তু গুলো যদি বুঝতে না পারেন তাহলে অবশ্যই সেখানে মন্তব্য করুন অথবা আমাকে মেনশন করুন তাহলে আমি বুঝতে পারবো আপনাদের এই বিষয় সর্ম্পকে অনেক আগ্রহ আছে।
এবং আমি সিরিজ আকারে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট বিষয়বস্তুর উপরে পার্ট বাই পার্ট তৈরি করব।
ধন্যবাদ 🙏
রাশেদুল ইসলাম, ফাউন্ডার, স্কিলস রাইডার